উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রামের সর্বশেষ দু’টি থানা–চিলমারি ও রাজিবপুর। ব্রহ্মপুত্র নদের এইপারে চিলমারি, ওপারে রাজিবপুর। চিলমারির উত্তর বজ্রা, ঠকেরহাট ও জোরগাছসহ নদীপাড়ের মানুষদের ঘরের ভেতরে পানি হয়েছিল গড়ে তিনফিট। ফল ও ফসল বন্যার পানিতে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে অগণিত মানুষ।
চিলমারির চর ও রাজিবপুরের অবস্থা হয়েছিল আরও ভয়াবহ। কোনাবাড়ী উলামা পরিষদ আগ থেকে চিলমারির কয়েকটা চরের খোঁজখবর নিয়ে রেখেছিল। সংগঠনটি জানতে পেরেছিল চরবাসীর দুর্দশাগ্রস্ততার খবর।
মাওলানা সাঈদ কাদির বলেন, ট্রলারযোগে ত্রিশ কিলোমিটার পানিপথ অতিক্রম করে আমরা শিকারপুর চরে গিয়েছিলাম। ট্রলার থামাতেই কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দিকে চোখ পড়ল! তারা আমাদের অপেক্ষায় সেখানে বসে আছেন। তাদের চোখমুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, একান্ত দায়ে ঠেকেই তারা এখানে এসেছেন। নচেৎ সাধারণ প্রয়োজনে তারা মানুষের কাছে হাত পাতার মতো লোক নন। কিছু বিধবা, পঙ্গু ও পাগলীকে দেখে চোখের পানি আটকানো যাচ্ছিল না।
সাঈদ কাদির বলেন, জীর্ণশীর্ণ কিছু বালকবালিকাও এসেছিল কাঁদোকাঁদো চেহারায়। দৃশ্যটা ঠিক কেমন ছিল–বর্ণনা করে বোঝানো দায়! এসব দৃশ্য কেবল চোখে দেখা যায়! তাঁদের দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থার সঠিক চিত্র ক্যামেরার ক্লিক বা লেখার হরফে উঠিয়ে আনা সম্ভব নয়।