দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আল্লামা আহমদ শফী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ০৪ ২০১৯, ১৫:৫৪

কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ বোর্ড আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামি আতিল কওমিয়াবাংলাদেশ এর অধীনে ১৪৪০ হিজরী শিক্ষাবর্ষের দাওয়ারায়ে হাদীস (মাস্টার্স) ফাইনালপরীক্ষার ফলাফল ৩ জুলাই,২০১৯ খ্রি. বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় মোটপরীক্ষার্থী ছিল ২৬,৭৮৮ জন, মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯,০৭৯ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৩,৮৬৯জন এবং ছাত্রী ৫,২১০ জন। পাসের হার ছাত্র ৭৭.১৮, ছাত্রী ৬৫.২৬। মুমতাজ (স্টারমার্ক) পেয়েছে ছাত্র ৯৫৯ জন এবং ছাত্রী ৯২ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (১ম) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৪,১২৪ জন, ছাত্রী ১,০৭৬ জন। জায়্যিদ (২য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৫,৬৩৪ জন, ছাত্রী ২,৩৫১ জন এবং মাকবুল (৩য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৩,১৫২ জন, ছাত্রী ১,৬৯১ জন। সারাদেশে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় শীর্ষে রয়েছেন আল

জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর শিক্ষার্থী। যেখানে ১ম স্থান একজন ও যৌথভাবে ২য় স্থানসহ আরো ৮জন সর্বোচ্চ মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।

হাইয়াতুল উলয়ার চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী দা.বা. গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষার ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান।পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সফলতা অর্জনে যাঁরা বিশেষভাবে ভূমিকা রেখেছেন সেসকল মাদরাসার পরিচালক, শিক্ষাসচিব এবং আসাতেজায়ে কেরামসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন- সরকার দাওরায়ে হাদীসকে মাস্টার্স এর মান দেয়ার মাধ্যমে কওমী শিক্ষার্থীদের সম্ভবনার দ্বার উম্মোচিত করেছেন।কওমী শিক্ষার্থীদেরকে আরো দক্ষতা অর্জন করে ইসলামের বহুমুখী খিদমত আঞ্জাম দিতে হবে। বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ভবিষ্যতে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মুকাবালার জন্য কওমী শিক্ষার্থীদের আরো ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

দাওরায়ে হাদীস উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন- আপনাদেরকে ইলম ও আমলের চর্চায় আরো অগ্রগামী হতে হবে।অর্জিত দ্বীনি ইলমের হিফাজত করতে হবে দুনিয়াবী কোন লোভ-লালসায় পরে কোন অবস্থায় ইসলাম বিবর্জিত কাজে জড়িত হওয়া যাবে না। ইলম একটি আমানত, তার পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। কর্মক্ষেত্রে সকলকে সতর্ক ও সহনশীলতার সাথে কাজ করার আহবান জানান।