তালেবানের কবজায় হেরাতের কমান্ডার ইসমাইল খান

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ১৪ ২০২১, ১৩:৫৭

আফগানিস্তানের শহর হেরাতের কমান্ডার ইসমাইল খানকে আটক করেছে তালেবান। গত জুলাইয়ে হেরাতে যখন লড়াই তীব্র আকার ধারণ করে, তখন সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন এ আফগান কমান্ডার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, আফগানিস্তান সরকারের হয়ে হেরাতে কাজ করছিলেন ইসমাইল খান। তাকে ‘লায়ন অব হেরাত’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। আফগান বাহিনীর হয়ে সশস্ত্র সংগঠন তালেবানের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার ইসমাইল খান।

আলজাজিরার খবরে আরও বলা হয়েছে, এমন সময়ে এই খবর এলো, যখন দেশটির ৩৪টি প্রদেশের ১৮টির রাজধানী তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে এই রাজধানী শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে গেল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, হেরাত প্রদেশের কাউন্সিল সদস্য গুলাম হাবিব হাশিমি গতকাল শুক্রবার বলেন, হেরাত পতনের পর চুক্তি অনুসারে ইসমাইল খানকে তালেবানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই প্রদেশের গভর্নর এবং নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকেও তালেবানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কী চুক্তির ভিত্তিতে তাদের তালেবানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তা জানাননি তিনি।

ইসমাইল খানের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতার ভিত্তিতে ইসমাইল খানকে বাড়ি ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, হেরাতের পতনের পর সেখানকার বিমানবন্দরও তালেবানকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে আফগান বাহিনী। একই সঙ্গে সেখানকার সেনাঘাঁটিও ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। হেরাতের পতন প্রসঙ্গে হাশিমি বলেন, সরকারের যেসব কর্মকর্তা তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের কোনো ক্ষতি না করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে তালেবান।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে আফগানিস্তান সরকারের হয়ে কাজ করছিলেন ইসমাইল খান। এ অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েতের বিরুদ্ধে ওই যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এ যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি ‘লায়ন অব হেরাত’ হিসেবে পরিচিতি পান।