তাকবিরে তাশরিক: যে তাকবিরে মুখরিত বিশ্ব, পড়ার নিয়ম ও উদ্ভাবক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ১৩ ২০২৪, ০৯:৩৪

কাজী শহিদুল্লাহ ওয়াহেদ: বদরুদ্দিন আইনী (রহ:) বলেন, যখন হযরত ইব্রাহিম (আ:) কুরবানী করতে শুরু করলেন, তখন হযরত জিব্রাইল (আ:) আল্লাহর নির্দেশে বেহেস্ত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে রওয়ানা হলেন। পরে সংশয় হচ্ছিল যে, তিনি পৃথিবীতে পৌঁছার পূর্বেই ইব্রাহিম (আ:) যবেহ কার্য সম্পন্ন করে ফেলবেন। তাই জিব্রাইল (আ:) আকাশ থেকে উচ্চ স্বরে ধ্বনী দিতে থাকেন, “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, হযরত ইব্রাহিম (আ:) আওয়াজ শুনে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন যে, ইসমাইল (আ:) এর পরিবর্তে জিব্রাইল (আ:) একটি দুম্বা নিয়ে আসছেন, তাই তিনি স্বতঃস্ফুর্তভাবে বলে উঠলেন “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” পিতার বাণী শুনতে পেয়ে হযরত ইসমাইল (আ:) বলে উঠলেন “আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ” একজন ফেরেশতা আর দু’জন নবী এ তিন মহান ব্যক্তিত্বের উচ্চারিত এ আমলটুক আল্লাহর এত পছন্দ হল যে, আমাদের জন্য ওয়াজিব করে দিলেন।

‘তাকবিরে তাশরিক’ হলো মহান আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদের স্বীকৃতি ও প্রশংসা ঘোষণা করা। প্রত্যেক হিজরি বছরের জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাজ থেকে ১৩ তারিখ আসরের নামাজ পর্যন্ত ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক এক বার পড়া ওয়াজিব।

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ, মুকিম-মুসাফির, গ্রামবাসী-শহরবাসী, জামাআতে বা একাকি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর প্রত্যেকের ওপর একবার করে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করা ওয়াজিব। তাকবিরে তাশরিক হলো-, “আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ” ’অর্থ হলো : “আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান।” সে হিসেবে এ বছরের আগামী ৯ জুন রবিবার ২০২৪ (৯ জিলহজ্ব) ফজর থেকে ২০ জুন বৃহস্পতিবার ২০২৪ (১৩ জিলহজ্ব) আসরের নামাজ পর্যন্ত ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর ‘তাকবিরে তাশরিক’ পড়তে হবে। এ তাকবির প্রত্যেক ওয়াক্তে ১ বার পড়া ওয়াজিব। আর ৩ বার পড়া মোস্তাহাব। বিষয়টি খেয়াল করে যথাযথভাবে পালন করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য জরুরী।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তথা মুসলিম উম্মাহকে উক্ত ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পাঠ করে আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা ও নৈকট্য লাভের তৌফিক আতা ফরমান। আল্লাহুম্মা আমিন।