তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ঐকমত্য বিএনপি-জাতীয় পার্টির একাংশ
একুশে জার্নাল ডটকম
অক্টোবর ০৩ ২০২২, ১৬:৩৩
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)।
আজ (৩ অক্টোবর) সোমবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমসহ নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দিতীয় দফায় সংলাপ শুরু করেছে বিএনপি।
সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এই অবৈধ অনির্বাচিত সরকারের অপসারণের জন্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে যে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই অনুযায়ী ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দফা কথা বলেছি। এখন যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি তা হচ্ছে আমাদের গণআন্দোলনের দফাগুলোকে নির্ধারণের বিষয়। গতকাল আমরা কল্যাণ পার্টির সঙ্গে কথা বলেছি। আজকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ও তার দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনার মূল বিষয় ছিল আন্দোলনের দাবিগুলো নির্ধারণ করা। কমন দাবিগুলো হলো-গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, রাজনৈতিক কারণে যারা বন্দী আছেন তাদের মুক্তি। রাজনৈতিক কারণে প্রায় ৩৫লাখ মানুষের মামলা আছে তা প্রত্যাহার। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক অথবা দল নিরপেক্ষ অন্তবর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচন হবে, সেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। এছাড়া আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলে আমরা একমত হয়েছি। গণআন্দোলনের এই দাবিগুলো নিয়ে আমরা সামনের দিকে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করে ঐক্যবদ্ধ যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবো।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ২০দলীয় ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে সরকারবিরোধী একটা সর্বব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য কী পন্থা উদ্ভাবন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলমত শ্রেণি পেশার মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন এ টু জেড সফল করতে হবে। আল্লাহর রহমতে আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে অনেকখানি অগ্রসর হয়েছি। আমরা আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী সকল রাজনৈতিক দল সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আজকের বৈঠকে কীভাবে কী কী বক্তব্য নিয়ে আমরা মাঠে নামবো সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ এই সংগ্রামে আমরা জয়যুক্ত হবো।