ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা
একুশে জার্নাল ডটকম
অক্টোবর ০৭ ২০২২, ১৮:৩৬
এবার বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আয়োজিত ছাত্র অধিকার পরিষদের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় কমপক্ষে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লাসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক আবু হানিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, বিকেলে টিএসসি এলাকার রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীরা জড়ো হয়ে কর্মসূচি শুরু করে। এর পরপরই ছাত্রলীগ কর্মীরা সেখানে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে কিছু সাধারণ মানুষও রয়েছে।
আহতদের অনেককেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হামলার সময় নারীদেরও হেনস্তা করা হয়েছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানের জন্য আনা চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুরের পাশাপাশি পোস্টার ও ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলা হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৬টায় পল্টন থেকে ঢাকা মহানগর গণঅধিকার পরিষদের প্রতিবাদী মশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
তবে হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘টিএসসি এলাকায় মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। কারা মারামারি করেছে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।’
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা ছিলো নবগঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের নেতাদের। সাক্ষাতের জন্য সোয়া চারটার দিকে নীলক্ষেত মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ দিয়ে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
তবে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে এফ রহমান হলের কাছে আসার পর হলটির ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুনিম শাহরিয়ার মুনের নেতৃত্ব ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। ওই সময় হামলায় টিকতে না পেরে পিছু হটে ক্যাম্পাস ছাড়ে ছাত্রদলের নেতারা। ওই হামলায় ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল।