ঢাকার দুই সিটির ৬ মেয়র প্রার্থীই কোটিপতি
একুশে জার্নাল
জানুয়ারি ২০ ২০২০, ১০:৪৬
উত্তরে ঋণে এগিয়ে আতিক, সম্পদ বেশি তাবিথের
দক্ষিণে সম্পদে এগিয়ে তাপস, পিছিয়ে ইশরাক
ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটির ১৪ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৬জন কোটিপতি। কেউ শত কোটি টাকারও মালিক। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুজন, বিএনপির দুজন ও জাতীয় পার্টির দুই মেয়র প্রার্থীই কোটিপতি। বাকি আট প্রার্থী তেমন সম্পদশালী নন। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রার্থীদের মধ্যে কেউ স্বশিক্ষিত আবার কেউ এমফিল ডিগ্রিধারী রয়েছেন।
দায়দেনায় রয়েছেন উত্তরের বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলে নূর তাপস ও বিএনপির ইশরাক হোসেন এবং জাতীয় পার্টির সাইফুদ্দিন। কোটিপতি প্রার্থীর মধ্যে গাড়ি নেই উত্তরের মেয়র প্রার্থী আতিক ও দক্ষিণের ইশরাকের। উত্তরের কোনো প্রার্থীর বর্তমানে মামলা নেই। দক্ষিণে মামলা রয়েছে ইশরাকের। দুই সিটির রিটার্নিং অফিসারের কাছে মেয়র প্রার্থীদের জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচন
ফজলে নূর তাপস: ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। পেশায় তিনি আইনজীবী। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্যানুযায়ী, সব মিলিয়ে ফজলে নূর ১০৮ কোটি ৯৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক। তার বার্ষিক আয় ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ২ কোটি ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৯২ টাকা। আর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ রয়েছে ২৬ কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৫৭ টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৯৭ লাখ ২০৬ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭৭ হাজার ২০৭ টাকা, স্ত্রীর নামে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ২৩৫ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার রয়েছে ৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৪ টাকার। সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত রয়েছে ৩৫ কোটি ২২ লাখ টাকার, স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৭৩ টাকার। বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি ইত্যাদি দেখানো হয়েছে তিন। গাড়ির মূল্য ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫২৫ টাকা। স্ত্রীর নামে গাড়ি একটি, মূল্য ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৩ টাকা। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূলবান ধাতু রয়েছে ৩২ তোলা, যার মূল্য ১ কোটি টাকা। স্ত্রীর নামে ১৮৮ ভরি, দাম ৫০ লাখ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে কৃষিজমি ১০.৫০ কাঠা, স্ত্রীর নামে ১১২ শতাংশ (যৌথ মালিকানা প্রার্থীর অংশ ৫০ শতাংশ)। নিজের নামে অকৃষি জমি ১০ কাঠা, মূল্য ৩৮ লাখ ১৯ হাজার; স্ত্রীর নামে ১০ কাঠা, মূল্য ৫ কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দালান, আবাসিক/বাণিজ্যিক ভবন তিনটি, মূল্য ৮ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ টাকা (যৌথ মালিকানা প্রার্থীর অংশ ৫০ শতাংশ)। এ ছাড়া বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নিজের নামে একটি, মূল্য ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা; স্ত্রীর নামে দুটি, মূল্য ১ কোটি ৬৬ লাখ ১১ হাজার ৪৩১ টাকা। দায়দেনার মধ্যে তিনি অগ্রিম বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন।
ইশরাক হোসেন: ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। চারটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, একটির শেয়ারহোল্ডার ও একটির স্বত্বাধিকারী তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার নামে একটি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। ৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার ৭২ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তার। আর স্থাবর সম্পদ ৭৮ লাখ ৫১ হাজার ৫২৪ টাকার। তার বার্ষিক আয় ৯ কোটি ১৫ লাখ ৮ হাজার ৩৮৯ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া পান ৭৮ হাজার ৩০০ টাকা। ব্যবসা থেকে পান ৪২ লাখ ৪ হাজার টাকা। শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানতের সুদ ৪ লাখ ২৫ হাজার ৮২৪ টাকা। চাকরি (পারিতোষিক) ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৬ টাকা। অন্যান্য লভ্যাংশ থেকে আয় ৪৬ লাখ ৮০ হাজার ৩৮৯ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৩৩ হাজার ১০৯ টাকা। ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমার পরিমাণ ১ কোটি ৩৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ারের পরিমাণ ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৪২ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। নিজের নামে গাড়ি নেই। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নামে কৃষিজমি রয়েছে ৩৪.৫০ শতাংশ, মূল্য ৩০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অকৃষি জমি ২৯.০৯ শতাংশ, মূল্য ৩২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। দালান, আবাসিক/বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকার (নির্মাণাধীন)। বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে একটি, মূল্য ২ লাখ ১০ হাজার টাকার (৮০০ বর্গফুট)। মায়ের কাছ থেকে তিনি ঋণ নিয়েছেন।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন: জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। হলফনামায় তিনি নিজেকে স্বশিক্ষিত দাবি করেছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। বার্ষিক আয় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আয় ৬৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ব্যবসা ও বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ হাতে রয়েছে ৫৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নিজের নামে মাত্র ১৭ লাখ টাকার গাড়ি থাকলেও স্ত্রীর নামে রয়েছে বিএমডব্লিউ, নিশান ও ব্লু-বার্ড। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে স্বর্ণ রয়েছে ২০ ভরি। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে কৃষি-অকৃষি জমি। নিজের নামে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৭ হাজার ৬০১ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ২ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।
মো. আবদুর রহমান: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী। তিনি স্বশিক্ষিত। পেশায় ব্যবসায়ী। তার বার্ষিক আয় ৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা। নগদ রয়েছে ৫৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা। গাড়ি একটি। স্বর্ণ ৬০ তোলা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে কৃষিজমি ৮৮২.৮৫ শতাংশ। বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট একটি (চার তলা)।
বাহরানে সুলতান বাহার: এনপিপির মেয়র প্রার্থী বাহরানে সুলতান বাহার। তিনি স্বশিক্ষিত। পেশায় ব্যবসায়ী। মামলা রয়েছে দুটি। বার্ষিক আয় দেড় লাখ টাকা। নগদ টাকা রয়েছে ৫০ হাজার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে স্বর্ণ রয়েছে ৫ লাখ টাকার। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মেয়র প্রার্থী আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা। তিনি বিএ পাস। পেশায় সাংবাদিক। নগদ টাকা রয়েছে আড়াই লাখ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা সাড়ে ৩ লাখ। স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকা।
আবদুস সামাদ সুজন: গণফ্রন্টের মেয়র প্রার্থী। তিনি এইচএসসি পাস। পেশা রাজনীতি। বার্ষিক আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন
আতিকুল ইসলাম: আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বিকম পাস। তার রয়েছে ১৬টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বার্ষিক আয় ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় ৩ লাখ ৮০ হাজার। ব্যবসা (পারিতোষিক) থেকে আয় ৬৪ লাখ ১৪ হাজার ৮০১ টাকা। বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে আয় ৫০ লাখ ৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ ৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। মৎস্য খাতের আয় ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর পেশা থেকে ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্যাংক সুদ ৪২ হাজার ৩৪১ টাকা ও মৎস্য খাত থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া আতিকের বন্ড, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ৩ কোটি ৭৫ লাখ ২৪ হাজার টাকার, স্ত্রীর নামে ১২ লাখ ২৭ হাজার টাকার। নিজের নামে ২ লাখ ও স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। নিজের নামে গাড়ি নেই। তার অস্থাবর সম্পদ ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ও স্থাবর সম্পদের মূল্যমান ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ টাকা ৮ লাখ ৭৫ হাজার। স্ত্রী শায়লা শাগুফতা ইসলামের কাছে নগদ টাকা রয়েছে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার। এর মধ্যে ২ কোটি টাকা ব্যবসায়িক পুঁজি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে ১৫৮৩.৪৬ মার্কিন ডলার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৮৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আর স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে ৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার কৃষিজমি। ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার অকৃষি জমি রয়েছে, আর স্ত্রীর নামে কৃষিজমি রয়েছে ৩২ লাখ টাকার। নিজের নামে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার, আর স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকার (বায়নাকৃত)। এ ছাড়া রয়েছে মৎস্য খামার। তার নিজের ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ রয়েছে। আতিকুল ইসলামের নামে বর্তমানে বা অতীতে মামলা হয়নি।
তাবিথ আউয়াল: পেশায় ব্যবসায়ী। উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি। তার বার্ষিক আয় ৪ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৮ হাজার টাকা। এর বাইরে স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৪ দশমিক ২৪ একর কৃষিজমি, ১৬ দশমিক ৪৮ একর অকৃষি জমি, দশমিক ৫৬ একর অন্যান্য জমি। এ ছাড়া রয়েছে ৯২৪ ও ১ হাজার ৪৩ বর্গফুট আয়তনের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। বিপুল সম্পদের সঙ্গে রয়েছে ঋণও। বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজের ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ আছে। আয়ের উৎস হিসেবে তাবিথ আউয়াল কৃষি, বাড়ি/দোকান/অন্যান্য ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক থেকে লভ্যাংশ, চাকরি, অন্যান্য খাত উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে তার নামে কোনো মামলা নেই, অতীতেও মামলা ছিল না।
জি এম কামরুল: জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা জি এম কামরুল ইসলাম এমফিল ডিগ্রিধারী। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, অতীতেও ছিল না। বর্তমান পেশা ব্যবসা। তার বার্ষিক আয় প্রায় ২১ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ব্যাংকে রয়েছে ২০ লাখ টাকা। রয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা মূল্যমানের যানবাহন। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক, আসবাবপত্র রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৮ বিঘা কৃষিজমি, ৭ কাঠা অকৃষি জমি এবং ৭ কোটি টাকা মূল্যমানের ভবন। তার কোনো দায়দেনা নেই।
শাহীন খান: পিডিপি মেয়র প্রার্থী শাহীন খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্বশিক্ষিত। তার নিজের কোনো আয় নেই। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ, ব্যাংকে ৩ লাখ, একটি গাড়ি ও ৩ ভরি স্বর্ণ রয়েছে।
মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান: এনপিপি একাংশের মেয়র প্রার্থী মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান বিএসসি পাস। বার্ষিক আয় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। নিজের বাড়ি না থাকলেও স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
আহাম্মদ সাজেদুল হক: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মেয়র প্রার্থী আহাম্মদ সাজেদুল হক পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। এ পেশা থেকে তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ৫ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৫০০ টাকা, ২ ভরি স্বর্ণ। তার ৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা ব্যাংক ঋণ রয়েছে।