ঠিকাদারের খামখেয়ালিতে ৫ শতাধিক গ্রামবাসীর ভোগান্তি
একুশে জার্নাল ডটকম
মার্চ ০৭ ২০২০, ১৪:৩৭
শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাগদী পশ্চিম পাড়া মুন্সী মার্কেট থেকে সরদার বাড়ি মসজিদ পর্যন্ত মাটির রাস্তা আরসিসির কাজ চলছে। আর এই কাজ করতে গিয়ে ৫ শতাধিক গ্রামবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলেছেন ঠিকাদার আবু মোল্লা। কাজের ধীরগতিতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। স্কুলে যেতে পারছে না কোমলমতি শিশুরা।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৭ই মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় কাগদী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কাগদী ৬নং ওয়ার্ড সিদ্দিকের দোকানের সামনে থেকে গভীর করে ড্রেন করে রেখেছে। ড্রেনের দুই পাশে চলাচলের মতো কোন জায়গা রাখা হয়নি। গ্রামের মানুষের যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু মানুষ বিশেষ প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।
এলাকাবাসী বিল্লাল খান (৫৮)বলেন, জনগণের সমস্যা সৃষ্টি করে কোন কাজ করার নিয়ম আছে নাকি? ঠিকাদার রাস্তা তৈরিতে গভীর করে খাল কেটে রেখেছে অনেক দিন ধরে। তিনি যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা রাখেনি। গতকাল বৃষ্টি হওয়াতে গ্রামের অনেক শিক্ষার্থী কাগদী স্কুল ও মাদ্রাসায় যায়নি। আমরা চাই দ্রুত রাস্তা নির্মাণ করা হউক।
সিদ্দিকুর রহমান মুন্সী (৪৫) বলেন, পনেরো দিন যাবৎ প্রায় ৮শ মিটার রাস্তা করতে খাল কেটে রেখেছে। গ্রামের প্রায় ৬শত মানুষের যাতায়াতের চরম সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকেই পড়ে আহত হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত রাস্তাটি নির্মাণ করে জনসাধারণের চলাচলের উপযুক্ত করা হউক।
এলাকাবাসী রাশিদা বেগম বলেন, এরকম রাস্তা করতে আমি জীবনেও দেখি নাই। রাস্তা করতে গভীর মাটি খনন করেছে। দুই পাশ দিয়ে চলাচল করতে হয়। পাশে কোন জায়গা নাই, হাটতে গিয়ে কোন রকম মাটি ধসে গেলে রাস্তার গর্তে অথবা পাশে থাকা ডোবায় পড়তে হবে। তাই খুব সাবধানে যাতায়াত করতে হয়। আমরা চাই দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করুক।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আবু মোল্লা বলেন, ভেকু দিয়ে রাস্তা এভাবে কাটা ঠিক হয়নি। এতদিন বালু ভরাট হয়ে যেতো। সমস্যা বাধিয়েছে স্থানীয় নসু সরদারের ছেলে রানা সরদার। সে তিন টাকা দরে বালু দিতে চেয়েছিল। এখন সে বালু না দেয়াতে কাজ করতে দেরি হচ্ছে। বালুর ব্যবস্থা করতে পারলেই কাজ শুরু করবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পৌরসভার উপপ্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, এটি ৯৮ লক্ষ টাকার কাজ। আমি রাস্তায় গিয়েছিলাম। আসলেই ভয়াবহ ব্যাপার। আমি ঠিকাদারকে বার বার বলেছি এবং চিঠি দিয়েছি। কালকের ভেতর আমি রাস্তায় বালু ভরাটের ব্যবস্থা নিচ্ছি।



