ট্রলারের ধাক্কায় স্পীডবোট ডুবিতে নিহত দুই, শিশু নিখোঁজ
একুশে জার্নাল
সেপ্টেম্বর ০৮ ২০২০, ২৩:৪৩
কায়সার হামিদ মানিক, স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীর সংলগ্ন খালের মুখে একটি ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়া সেন্টমার্টিনগামী একটি স্পিড বোট উল্টে দুই বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৬ জন যাত্রী। নিখোঁজ রয়েছে এক শিশু।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে টেকনাফ পৌরসভা লামার বাজার কাইয়ুকখালী ফিশিংঘাট থেকে দুই শিশুসহ ১১জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে একটি স্পীডবোট রওয়ানা দেয়।
এরপর স্পীডবোটটি টেকনাফ সদর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নাফনদীর প্রবেশ মুখে পৌঁছলে অপরদিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি ফিশিং ট্রলার যাত্রী বোঝাই স্পীডবোটটি ধাক্কা দেওয়ার সাথে সাথে স্পীডবোটটি উল্টে গিয়ে যাত্রীরা সবাই নদীতে পড়ে যায়। উক্ত ঘটনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আবদুল গফুরের স্ত্রী রশিদা বেগম (৬০) এবং আব্দুল জলিলের স্ত্রী মেহেরুন নেছা (৭৫) নামে দুই বৃদ্ধা মহিলা মারা যায়। এ ঘটনায় ৭ বছর বয়সি সুমাইয়া নামে এক শিশু কন্যা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
আহত যাত্রীরা হচ্ছে, টেকনাফ পৌরসভা নাইটং পাড়া এলাকার জাকারিয়ার পুত্র মো. সোহেল(৮), সেন্টমার্টিন পূর্ব পাড়া এলাকার জামাল হোসাইনের স্ত্রী বেগম (৬০) ও পশ্চিম পাড়া এলাকার মো. আমিনের পিত্র জোহারুন (১৫)।
এ ব্যাপারে টেকনাফ সদর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আবদুর রাজ্জাক বলেন, খাইয়ুকখালী খাল ও নাফনদীর প্রবেশ মুখে একটি ফিশিংট্রলার ও যাত্রীবাহি একটি স্পীডবোটের সাথে ধাক্কা লেগে স্পীডবোটটি উল্টে যায়। এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় হতাহতদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করা হয়।
এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে নাফনদীর প্রবেশ মুখে যাত্রীবাহি স্পীডবোটটিকে সাগর থেকে মাছ শিকার করে আসা একটি ফিশিং ট্রলার ধাক্কা দিলে
স্পীডবোটটি উল্টে গেলে যাত্রীরা ডুবে যায়।
পরে মুমুর্ষ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতাল ও বেসরকারী হাসপাতাল মেরিন সিটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে দুইজন নিহত হয়।
তিনি আরো জানান, দূর্ঘটনায় কবলিত স্পীড বোটটির মধ্যে আমার শাশুড়ী ও নাতনি ছিল। নাতনি সুমাইয়া এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং শাশুড়ীর অবস্থা অবনতি হওয়ায় কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।