গত ৫ আগস্ট নেত্রকোণায় ট্রলার দূর্ঘটনায় নিহত ১৮ জনের জন্য ইত্তেফাকুল উলামা মোমেনশাহীর সদর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে গতকাল (৭ আগস্ট ‘২০ তারিখে) বিকাল ৪টায় কোনাপারা মারকাজুস সুন্নাহ মাদ্রাসায় আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। এতে মোমেনশাহীর শীর্ষ উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন hi।

ট্রলারডুবির ঘটনায় শহীদানদের এতিম সন্তানাদির নিজেদের প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনার সকল দায় দায়িত্ব নিবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা থেকে আগত আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামীম মাও. বাহাউদ্দীন যাকারিয়া  এবং মাওঃ জুনাঈদ আল হাবিব।

একই সুরে সুর মিলিয়ে জামিয়া ফয়জুর রহমান রহ. এর মহাপরিচালক  মাওলানা আবদুল  হক বলেন, ঢাকা যাওয়া কষ্টকর, তাই বড় মসজিদে সব ফ্রী ব্যবস্থা করতেও আমরা প্রস্তুত আছি।

আলোচনার এক পর্যায়ে আরো প্রতিশ্রুতি দেন জামিয়া মাহমুদিয়ার শায়খুল হাদীস মাওঃ নূর আহমাদ। তিনি বলেন, শায়েখে যাত্রাবাড়ী বারবার ফোন দিয়ে এ ঘটনার খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং সমবেদনা জানিয়েছেন। তাই আমরা বলতে চাই ঢাকা বা ময়মনসিংহে নয়, বরং শায়েখের সাথে পরামর্শ করে পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান চরখরিচাতেও আমরা সম্পুর্ণ ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত আছি।

এছাড়াও শহীদানের পরিবার ও হাফেজ মাহফুজের রেখে যাওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতি সর্বদিক থেকে সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী ও ঢাকা থেকে আগত উলামায়ে কেরাম এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবু সাঈদ।

পরিশেষে মাগরিবের পূর্ব মুহূর্তে শহিদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। আর মজলিস পরিচালনা করেন মাওঃ গোলাম মাওলা ভূইয়া।

এ মজলিসে উপস্থিত ছিলেন মাওঃ আঃ রহমান হাফেজ্জী, মাওঃ খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওঃ আনওয়ারুল হক, মাওঃ আবদুল হক, মুফতি আহমাদ আলী, মাওঃ আবুল কালাম আজাদ, মুফতি মাহবুবুল্লাহ, মাওঃ নূর আহমাদ কাসেমী, শাহ মোশাররফ, মাওঃ মুহিব্বুল্লাহ, মাও মঞ্জরুল হক, মাওঃ দেলোয়ার হোসাইন নেত্রকোনাসহ মোমেনশাহীর প্রায় সকল শীর্ষ আলেমগণ।