টেকনাফে স্থানীয় যুবককে হাত-পা বেঁধে হত্যা করলো কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী
একুশে জার্নাল
মে ২৫ ২০২০, ১৯:২৯
![](https://ekushejournal.com/wp-content/uploads/2020/05/20200525_192814-720x405.jpg)
কায়সার হামিদ মানিক, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ঊলুবনিয়া হতে রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত আব্দু রশিদের হাত বাঁধা ও আঘাত প্রাপ্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
২৫ মে সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং উলুবনিয়া এবং উখিয়া উপজেলার পালংখালীর মধ্যবর্তী আঞ্জুমান খালে কাঁকড়া শিকারের সময় মোস্তাফিজ নামে এক ব্যক্তি হাত বাঁধা ও মাথা এবং নাক-মুখে আঘাতের চিহ্নসহ একটি পরিত্যক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে লোকজনকে খবর দিলে লোকজন এসে এই মৃতদেহ ভোররাতে মৎস্যঘেঁর হতে অপহৃত কাটাখালী পূর্ব পাড়ার মিয়া হোছনের পুত্র আব্দুর রশিদ ওরফে সাদেক বলে সনাক্ত করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, রোহিঙ্গাদের হাতে অপহৃত আব্দু রশিদের হাত বাঁধা ও মাথা, নাক-মুখে আঘাতের চিহ্ন সম্বলিত মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বার নিশ্চিত করেন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নিহত রশিদের পরিবারে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪মে ভোররাত আড়াইটারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং কাটাখালী পাহাড়ি এলাকা হতে মিনা বাজার হতে অপহৃত ইদ্রিসকে নিয়ে একদল স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত নেমে আসে। ডাকাত দল হৈ ছৈ শুরু করলে মৎস্যঘেঁরে থাকা পূর্ব ঊলুবনিয়া রাস্তার পশ্চিম পাশ হতে কাটাখালী পূর্ব পাড়ার মিয়া হোছনের পুত্র আব্দু রশিদ ওরফে সাদেক টর্চ লাইট মেরে কারা জানতে চাই? তখন ডাকাত দল ক্ষুদ্ধ হয়ে ঘেঁরে থাকা লোকজনের উপর চড়াও হলে সাথে আনা ইদ্রিস পালিয়ে যায়। তখন ডাকাত দল ক্ষুদ্ধ হয়ে আব্দুর রশিদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার,চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবহিত করা হলে পার্শ্ববর্তি পাহাড়ে তল্লাশী চালানো হয়।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, পাহাড়ে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মাদকের চালান খালাস করার জন্য নাফনদীর দিকে নেমে আসে। মৎস্যঘেঁরে অবস্থানকারী লোকজনের কারণে তাদের মাদকের চালান খালাসে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এবং বিজিবি ও পুলিশের হাতে পূর্বেও একাধিক ইয়াবার চালানসহ রোহিঙ্গা বন্দুক যুদ্ধে নিহতের ঘটনা ঘটে আসছে। তাই তাদের মাদক বাণিজ্য অবাধ করার জন্য ঘেঁরে অবস্থানকারী লোকজন ধরে নিয়ে খুন করা হচ্ছে।
অপরদিকে প্রত্যেক রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর অপকর্মে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ক্রমশ ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে। রোহিঙ্গা অপরাধীদের বেপরোয়া এবং স্থানীয়দের নিধনের বিষয়টি কঠোর হাতে দমনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন মহলের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।