টাঙ্গাইলে সবজির বাজার আকাশছোঁয়া
একুশে জার্নাল
অক্টোবর ১৫ ২০২০, ১৬:৪৩
কাওসার আলী, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:গ
টাঙ্গাইলে বন্যার পর শীতের আগাম সবজি আসা শুরু করলেও বাজারে দাম আকাশছোঁয়া। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ কাঙ্খিত সবজি কিনতে পারছেনা। সরকারের বেঁধে দেওয়া ৩০টাকা কেজির আলু ৫০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে বুধবার(১৪ অক্টোবর) টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজার, ছয়আনি বাজার, সাবালিয়া, সাবালিয়া বটতলা, বটতলা, বৈল্যা, বউ বাজার, আমিন বাজার(গোডাউনবাজার), বাসস্ট্যান্ড বাজার ঘুরে জানা যায়, এক বাজারের তুলনায় অন্য বাজারে সবজির দামে পার্থক্য রয়েছে। এসব বাজারে সরকারের বেঁধে দেওয়া ৩০টাকা কেজির আলু ৫০-৫৫ টাকায়(রাজশাহী) বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়ার আলু ৪০-৪৫টাকা, শিম ১০০, পেঁয়াজ ৮৫, কাঁচা মরিচ ২৪০, বেগুন ৭০, করলা ১০০, পটল ৬০, শশা ৫০, ঢেঁড়স ৬০, বরবটি ৮০, বগুড়ার মূলা ৫০, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। জয়পুরহাটের কচুঁ লতা প্রতি আটি ৫০টাকা, বগুড়ার মিষ্টি লাউ ৩৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ৮০, বাঁধাকপি ৬০, চিচিংগা ৬০, ধন্দুল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক ৬০ টাকা কেজি, পুঁইশাক প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কলমি শাক(চাষকৃত) ৪০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারবেধে এসব সবজি ২-৪ টাকা কমবেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
বিভিন্ন বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা আবু হানিফ, মো. আসিফ মিয়া, শাহাদত হোসেন, মোহাম্মদ আলী, নিতাই চন্দ্র দাস, আব্দুল্লাহ মিয়া, মো. আনিছুর রহমান, ফজলুর রহমান সহ অনেকেই জানান, তারা শহরের পাইকারী বাজার পার্কবাজার থেকে কাঁচমাল কিনে
এনে বাজারে বিক্রি করে থাকেন। পাইকারী বাজারে দাম বেশি থাকায় তারাও সে ধারাবাহিকতায় বিক্রি করছেন। পাইকারী কেনা দামের চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে তারা সবজি বিক্রি করেন।
শহরের পার্কবাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন, আবু সাইদ, আব্দুল কদ্দুছ, আব্দুর রশিদ, রেজ্জাক মিয়া সহ অনেকেই জানান, তারা রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট, মানিকগঞ্জের ঝিটকা, পাবনা সহ দেশের বিভিন্ন মোকাম থেকে মালামাল কিনে এনে
টাঙ্গাইল শহরের পার্ক বাজারে পাইকারী বিক্রি করেন। মোকামে দাম বেশি থাকায় তারা ইচ্ছে করলেও কম দামে বিক্রি করতে পারেন না।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম জানান, বাজারে নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক তৎপর রয়েছে। দ্রুত বাজার মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।