জীবনের শেষ দিনগুলো একটু শান্তিতে কাটাতে চায় “জনি”
একুশে জার্নাল
ডিসেম্বর ০৬ ২০১৮, ১৪:৩১
তরিকুল শাওন, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: মাহফুজুর রহমান জনি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফুড টেকনোলজি ও নিউট্রিশন সায়েন্স বিভাগের ৭ম ব্যাচের একজন মেধাবী ছাত্র।
পড়াশোনা শেষে যখন তার চাকুরী ক্ষেত্রে যোগদানের কথা ভাগ্যদোষে তখন আক্রান্ত হয় মরণব্যধি কোলন ক্যান্সারে।। বছর খানেক আগে সকলের সহযোগীতায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে করিয়ে ছিলেন ক্যান্সারের সার্জারি।। এরপর নিয়মিত চিকিৎসায় বেশ ভালই ছিলেন।। কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ করে আবার সমস্যা দেখা দেয়।।
ক্ষুদ্রান্তে প্রচুর পানি জমছে, ফ্লুইড আর এন্টিবায়োটিক। কোলনে আগের ক্যান্সার থেকে কিছু টিউমার এসে পায়খানার রাস্তাটা ব্লক করে দিচ্ছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে “ভায়েল অবস্ট্রাকশন”।। পায়খানার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক দিন ধরে তরল খাবার ছাড়া কিছুই খেতে পারছেন না। পেটে গ্যাস জমে পেট ফুলে আছে।
ওজন কমছে দিন দিন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটে যান ভারতের সিএমসি হাসপাতালে কিন্তু ডাক্তাররা আশার সংবাদ শোনাতে ব্যর্থ হন।। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে তিনি এখন ক্যান্সারের লাস্ট স্টেজে আছেন, ঠিক কতদিন বাঁচবেন বলা সম্ভব হচ্ছে না।। ফেরত আসলেন দেশে হাতে নেই একটি টাকা। ইতিমধ্যে চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে তার পরিবার আজ নিঃস্ব। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের শেষদিনগুলো একটু কম কষ্টে থাকার আশায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বন্ধুবান্ধব সহ সমাজের সকল স্থরের মানুষের দ্বারস্থ হয়েছেন।।
ক্যান্সার আক্রান্ত জনির ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু নিচে তুলে ধরা হলো
“গিয়েছিলাম ভেলরে সিএমসি হাসপাতালে। ওখানে গিয়ে যেটা বুঝলাম সেটা হচ্ছে আমাকে বাংলাদেশের ডক্টররা প্রপার ইনফো দেয় নি। দেয় নি প্রপার গাইড লাইডলাইন। বাবাকে সাথে নিয়ে গেছিলাম। দুর্ভাগ্য উনি আমার কষ্ট দেখে নিজেই স্ট্রোক করে বসলেন।
সমস্যাটা হলো ভায়েল অবস্ট্রাকশন। ক্ষুদ্রান্তে প্রচুর পানি জমছে, ফ্লুইড আর এন্টিবায়োটিক। আর এরপর কোলনে আগের ক্যান্সার থেকে হয়ত কিছু টিউমার এসে পায়খানার রাস্তাটা ব্লক করে দিচ্ছে। ডাক্তারগন একটা বা দুইটা টিউমারের অপারেশন করতে পারেন, একাধিক করতে পারেন না । তাই উনারা ‘না’ করে দিলেন। চলেও এলাম দেশে।
জিজ্ঞেস করলাম স্যার কতদিন বাচব?
১ মাস ?
বললঃ “Difficult To Say”
রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজ অনেক দিন কিছু খাই না, পানি আরেকটু জুস ছাড়া । গ্যাসে ফুলে যাচ্ছে পেট। অবর্ননীয় কষ্ট । ক্যান্সার স্টেজ ও আগাচ্ছে। পিজিতে ভর্তি হতে চাচ্ছি সাফারিং কমানোর জন্যে আর যদি সম্ভব হয় একটু ভাল চিকিৎসার জন্যে। হাতের সব টাকা শেষ, আর ক্যান্সার শেষ স্টেজে ডায়াগনস্টিক, টেস্ট, সার্জারীর সহ সব ক্ষেত্রেই টাকা বেশি লাগে, তাই তোদের সাথে শেয়ার করলাম ব্যাপারটা।
সবার চাকরি পাওয়ার খবর দারুন লাগছে। সবার জন্য দোয়া রইল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে যা পুরো বাংলাদেশে। আমার স্বপ্নটা বা নাই বা পূরন হলো।”
জনি ও তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সামর্থ্য এবং ইচ্ছে যদি কারো থাকে, তবে নিন্ম ঠিকানায় সাহায্য প্রেরিণের জন্য অনুরোধ করা হলো ।
বিকাশ :-
01757344626 (মেহেদী, নবম ব্যাচ)
01798502399 (রিমন, নবম ব্যাচ)
রকেটঃ 017128662447 (নেশন, নবম ব্যাচ)