জামালপুরে সাধারণ মানুষের মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক
একুশে জার্নাল ডটকম
এপ্রিল ১১ ২০২০, ১৯:২৬

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে বন্ধ রয়েছে দেশের স্কুল-কলেজ ও সরকারি অফিস গুলো । আর এই সুযোগে ঘরে বসেই অনেকে মাথা ন্যাড়া করে ফেলছেন।
এদিকে, জামালপুর জেলার প্রত্যেক গ্রামের ছোট, বড়, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থী , সাংবাদিকসহ কয়েকজন শিক্ষকদের মাঝেও পড়ে গেছে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক।
মাথা ন্যাড়া করার বিষয়ে কম্পপুরে রাজন বলেন, মাথার চুল বড় হয়ে গেছে। গরমের মধ্যে মাথার চুল বড় থাকলে অসহ্য লাগে, কিন্তু বাইরে বের হয়ে কাটানোর কোন ব্যবস্থা নেই। তাই ঘরে বসে মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছি।
স্বেচ্ছাসেবক ইদুল হাসান বলেন, আমি ও আমার বন্ধু আরো ২০জন মাথা ন্যাড়া করেছি। রক্তের বন্ধনের হেলাল আহমেদ বলেন, গরমের কারণেই মূলত ন্যাড়া হয়েছি। পাথালিয়া গ্রামের ইমরান বলেন, মাথার চুল বড় হয়ে যাচ্ছে দেব দাস দেখাছে তাই ঘরে বসে থাকার এই সময়ে মাথা ন্যাড়া করলাম। দৈনিক পল্লীকন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি বিশ্বাস করি কয়েক বছর পর পর মাথা ন্যাড়া করা উচিত। এতে করে মাথা পরিষ্কার থাকে এবং চুল ভাল থাকে। এই রমজানের ছুটিতে মাথা ন্যাড়া করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন দীর্ঘ ছুটি আর চুল ও বড় হয়েছিল তাই ন্যাড়া করলাম।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ মানুষই মাথা ন্যাড়া করে সকলে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করছেন।
উল্লেখ্য , চীনে করোনা পরিস্থিতিতে দেশটির বেইজিংসহ সব প্রদেশ থেকে চিকিৎসক এবং নার্স সেখানে পাঠানোর আগে অনেকের মাথা ন্যাড়া করে পাঠানোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেখানে বলা হয়, আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় যেন নিজেরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত না হন; সে জন্য চিকিৎসক এবং নার্সরা চুল ছোট করে ফেলেছেন। এছাড়া অনেকে ন্যাড়াও হয়েছিলেন। আর এ সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ন্যাড়া হওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ে।