জানুয়ারির শুরুতে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন
একুশে জার্নাল ডটকম
অক্টোবর ৩০ ২০২২, ১৯:২১
নির্বাচন কমিশনার-ইসি মো. আলমগীর বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে রংপুর সিটি করপোরেশন-রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশন বৈঠকে হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা হবে। আর অন্যান্য নির্বাচনের মতো রসিকেও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে কিনা সে ব্যাপারে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ (৩০ অক্টোবর) রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সর্বশেষ রংপুর সিটিতে নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেহেতু কোনো সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর, তাই এ সিটিতে নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
ইসি মো. আলমগীর বলেন, অবশ্যই আপত্তিকে গুরুত্ব দিই। তবে কোনটা সুবিধা সেটা আমলে নিই। সিটি করপোরেশন বা পৌরসভায় যে নির্বাচন আগামীতে হবে সেখানে ইভিএম, সিসি ক্যমেরা ব্যবহার করবো। আমাদের রোডম্যাপে আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত আছে। সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম ধরতে সহজ হবে। কারণ ভোটকেন্দ্রের বাইরের (অনিয়ম) সবাই দেখে। কিন্তু ভেতরেরটাতো সবাই দেখে না। যদি আমাদের কারিগরি সামর্থ্য হয় তবে কারও কথা শোনার তো কোনো সুযোগ নেই। ইভিএমের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত আমাদের। সিসি ক্যামেরা নিরাপত্তার জন্য বাসা বাড়িতে, মার্কেটে, রাস্তায় আছে। এটার কারণ হলো অপারাধ কে করল তা সহজে ধরা। সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীরা সতর্ক থাকে। অন্যদিকে সবারই সক্ষমতা সীমিত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, কমিশন কারোর সক্ষমতা অসীম নয়। সিসি ক্যামেরা থাকলে সবার জন্যই সহজ হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম দেখে ভোট বন্ধ ঘোষণা করে ইসি। এ নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আটকে আছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও এখনও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করে ইসি আলমগীর বলেন, গত বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিলেও এখনও সেটা নিয়ে বসা হয়নি। তাই গাইবান্ধার ভোট নিয়ে পরবর্তীতে কী হবে এখনই মন্তব্য করছি না।