জরুরি ভিত্তিতে দারুল আরকাম মাদ্রাসার সমস্যা সমাধান করুন: মিছবাহুর রহমান চৌধুরী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ২২ ২০২০, ১৩:০১

নিজস্ব প্রতিনিধি> জরুরী ভিত্তিতে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সমস্যা সমাধান করুন। ধ্বংসের হাত থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বাঁচান।” শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস জনাব মিছবাহুর রহমান চৌধুরী।

জনাব মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর এফ.বি-ওয়াল থেকে পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল-
দারুল আরকাম মাদ্রাসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মসজিদ ভিওিক গণশিক্ষা /কোরআন শিক্ষার সঙ্গে একত্রে একটি প্রকল্প। এ ব‍্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক মরহুম শামীম আফজাল ও ধর্মমন্ত্রণালয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর অনেক পরামর্শ উপেক্ষা করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শ জেনে বোর্ড এর সম্নানিত সদস‍্যগণের সহযোগিতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের চেষ্টায় দেশের সব কয়টি উপজেলায় জনসাধারণের দেওয়া বিল্ডিং এ মাদ্রাসা স্হাপিত হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশের হাজার হাজার আলেমদের মধ্যে হতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে প্রায় দুই হাজার আলেমকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।এই প্রকল্পের কারণে দেশের আলেমদের মধ্যে ব‍্যাপক সাড়া পড়ে। গত ডিসেম্বরে চলমান এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে নতুন করে মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার প্রকল্পের সঙ্গে দারুল আরকাম বাদ দেওয়াহয়।

দীর্ঘ নয় মাস ব‍্যাপী এই আলেম শিক্ষকদের কোন বেতন দেওয়া হয় না, এরা দারুন কষ্টের মধে‍্য দিন যাপন করছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবস্থা বর্তমানে খুবই করুন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ‍্যাক্ট অনুযায়ী বোর্ড অব গভর্নরস ফাউন্ডেশন পরিচালনা করবে অথচ মরহুম শেখ আবদূল্লাহ সাহেব প্রতিমন্ত্রী হওয়ার ১০/১২ দিন পর মাত্র ১টি বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত করেন। ঐ মিটিংয়ে মহাপরিচালক মরহুম শামীম আফজালের অনেকগুলি ক্ষমতা সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়েছিল। বোর্ড রেজুলেশনে শামীম আফজালের নাম না বলে মহাপরিচালকের ক্ষমতা খর্ব করা হয়। এরপর প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ সাহেবের মৃত্যু পযর্ন্ত আর কোন বোর্ড মিটিং হয়নি। এখন একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শে মহাপরিচালক বোর্ড মিটিং আহ্বান করতে পারেন। বোর্ডের এ‍্যাক্ট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী যে কোন বোর্ড গভর্নরকে বোর্ড সভার সভাপতিত্ব করার নির্দেশ দিতে পারেন। এখন যেহেতু ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোন মন্ত্রী / প্রতিমন্ত্রী নেই সেহেতু একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব‍্যাপারে নির্দেশ দিতে পারেন।

এছাড়া অডিট আপত্তির কথা বলে শতাধিক রেভ্যিনিউ ভূক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। দৈনিক ভিওিতে অস্হায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। এই মহামারী কালীন সময় কর্মচারীরা জীবন বাজী রেখে কাজকর্ম করে গেছে। তাদের বেতন ভাতা অন‍্যায় ভাবে আটকিয়ে রাখা হয়েছে।

গত ১০ বছরে সমগ্র দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সরকারের প্রতিটি কর্মসূচি (মহান ইসলাম অনুমোদিত ) বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছে। যুদ্ধপরাধীদের বিচার, জঙ্গীবাদ সহ নানান বিষয়ে জনমত সৃষ্টি করেছে।

দূর্ভাগ‍্য হলেও সত‍্য, গত এক বছরব‍্যাপী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড একেবারেই স্হবির। জামায়াতে ইসলামীর ঘাপটি মারা অফিসাররা আবার ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। অন‍্যদিকে মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ সাহেব বলেন তার ক্ষমতা বাজেয়াপ্ত। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অবস্থা বতর্মানে খুবই করুন। সংস্হার চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। গত ১০/১২ বছরের অর্জন বিনষ্ট হতে চলছে। অফিসারদের মধ‍্যে দলা দলি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহাপরিচালক সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। ধর্ম সচিব সাহেব করোনায় আক্রান্ত। জনাব নজিবুল বাশার এম.পি কে ধন্যবাদ, তিনি সংসদে দারুল আরকাম মাদ্রাসা নিয়ে কথা বলেছেন, সংসদে তার বক্তব্যের পর অফিসাররা কিছুটা তৎপর হয়েছেন তবে দারুল আরকামের প্রকল্প নতুন করে জমা দিলেও এই প্রকল্পে-
(১) বর্তমান শিক্ষকদের ভবিষ্যত কি?
(২) তাদের বকেয়া বেতন কিভাবে পরিশোধ করা হবে কিছুই সিদ্ধান্ত না নিয়ে ২১ সালের জন্য নতুন প্রকল্প তৈরী
করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ধর্ম মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে। ইহা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।

দারুল আরকামের শিক্ষকরা নয় মাসে কোন বেতন না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন রক্ষায় বিশেষ করে দারুল আরকাম সহ ফাউন্ডেশনের ক্ষুর্ধাত কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপন থেকে উদ্ধার করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমি টেলিফোনে বোর্ডের কয়েকজন সম্নানিত সদস‍্যের সঙ্গে কথা বলেছি। এই বিযয়ে তারাও সবকিছু অবগত। ২/১ দিনের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে চিঠি প্রেরণ করতে তারা একমত পোষণ করেছেন।