জমে উঠেছে একুশের গ্রন্থমেলা
একুশে জার্নাল
ফেব্রুয়ারি ০৯ ২০১৯, ১৫:২৯

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আজ শনিবার ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উভয় অঙ্গণেই দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। নামকরা প্রকাশনা সংস্থার প্যাভিলিয়নসহ ছোট বড় সব স্টল ঘিরে পছন্দের বই খুঁজে ফেরে ব্যস্ত ক্রেতারা।
শুক্র ও শনি ছুটির দুইদিনে বই বেচা নিয়ে শংকিত প্রকাশকগণের শংকা কেটে যাওয়ায় তারা ফেলছে স্বস্তির নিঃশ্বাস। মেলাঙ্গণ থেকে শত শত মানুষ বাড়ি ফেরার পথে সবার হাতে হাতেই ছিল বই আর বইয়ের ব্যাগ।
আজ শনিবার মেলা শুরু হয় সকাল এগারটায়। তার আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছয়টি গেটের সামনে অসংখ্য অভিভাবকগণকে সন্তানদের নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষারত দেখা যায়। গেট খোলার পর পরই দলবেধে ভেতরে ঢোকে ছোট্টমনিরা। দুপুর পর্যন্ত মেলাপ্রাঙ্গণ ছিল শিশুদের আনাগোনায় মুখর। বিশেষত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সিসিমপুর কর্নারে অনেক শিশুই খেলায় মেতে উঠে। এ ছাড়াও শিশু কর্নারের ৫৭টি স্টলে শিশুরা অভিবাবকদের সঙ্গে তাদের পছন্দের বই কেনাকাটা করে।
বিকেলে দোয়েল চত্বর ও টিএসসির পথ বেয়ে বহু লোক সমাগমে দেহ তল্লাস করায় হিমশিম খাচ্ছিল নিরাপত্তাকর্মীরা। বিকেল পাঁচটার দিকে সারিবদ্ধ স্টলগুলোয় ক্রেতাদের উপচে ভিড়ে মেলাঙ্গণে তিলধারণের ঠাঁইটুকুও ছিল না।
এবারের মেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১৮টি নতুন বই প্রকাশ পেয়েছে আজ। এ নিয়ে নয়দিনে এবারের মেলায় মোট ১ হাজার ৩শ ১৩টি নতুন বই প্রকাশিত হলো।
আজ সকাল দশটায় মেলার মূলমঞ্চে বাংলা একাডেমি আয়োজিত শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতা এবং শিশু-কিশোর সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বক্তৃতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘লেখক-অনুবাদক আবদুল হক : জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা সভা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়দ আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করেন সুব্রত বড়ুয়া। আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, কবি সোহরাব হাসান ও গবেষক আহমাদ মাযহার।