জনমনে প্রশ্ন, কম্পিউটার চুরির দায়ে থাকা পনি এখনও শিক্ষার্থী হিসেবে বহাল থাকে কিভাবে?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

আগস্ট ২৮ ২০২০, ২৩:৩৭

সানজিদা বিনতে শাফিন, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এ কম্পিউটার চুরির ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থী পনি এখনও কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বহাল এ ধরণের প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিবে এবং এখনও কেনো নিচ্ছে না বা নিয়েছেন কিনা এবিষয়ে জানতে চাইলে বশেমুরবিপ্রবি’র চলতি দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বলেন, এরকম অপরাধে জড়িত একজন কোনোভাবেই ছাড় পাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে যে ধরনের শাস্তি তার প্রাপ্য সেটাই সে পাবে।
এখন অবধি কেনো এবিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আমরা তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা যাবে সেই শিক্ষার্থীর কি ধরণের সংশ্লিষ্টতা এই চুরির ঘটনায় আছে এবং তার ওপর ভিত্তি করেই শাস্তি দেওয়া হবে।

নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কেনো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, জেলা কারাগারে আমাদের কিছু কাজ আছে।
যেটার জন্য অনুমতি এখনও মেলেনি। একারণেই তদন্ত জমা দেওয়ার শেষ সময় বাড়ানো হয়েছে।
এবিষয়ে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর অনুমতি নিয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

আসলে কি ঘটছে জনচক্ষুর অন্তরালে?
কোনো রকম দাপ্তরিক বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কিভাবে বাড়ানো হলো তদন্ত কমিটির মেয়াদ?

এসব প্রশ্ন নিয়ে কি ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ, শিক্ষার্থীরা।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার আহান খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনিসপত্র মানে আমাদের সম্পদ। আর নিজের সম্পদ যে চুরি করতে পারে এমন হীনমানবকে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে দেখতে চাইনা। দ্রুত তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এছাড়া, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশে বিলম্ব না করে অতিসত্বর তা প্রকাশ করা হোক এবং সকল চোরসহ এর মূল হোতার পরিচয় জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক।
যার দাবিতে আমরা ইতোমধ্যে দুইটি মানববন্ধন করেছি।