ছেলের বিয়ের দাওয়াত দিতে গণভবনে সোহেল তাজ
একুশে জার্নাল
এপ্রিল ৩০ ২০১৯, ১৮:২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে গিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।
৩০ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুরে ছেলে ব্যারিস্টার তুরাজ আহমদকে সঙ্গে নিয়ে গণভবনে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন সোহেল তাজ।
গণভবন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে সোহেল তাজ একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন বাবা-ছেলে।
পোস্টে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আমার ছেলে ব্যারিস্টার তুরাজ আহমদের বিয়ে আগামী ৫ জুলাই—দাওয়াত আর দোয়া নিতে আপার সঙ্গে। ওর জন্য আপনাদের সবার দোয়া কামনা করি ।’
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোহেল তাজকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী করেন। দৃঢ়তার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ একদিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে তার পরিবার থাকে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি। পরে সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের কারণ আজও স্পষ্ট করেননি তাজউদ্দীন-পুত্র। এর পরের সময়টা চলে মান-অভিমানে। পদত্যাগের সময় সোহেল তাজ বলেছিলেন আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। সেই সিদ্ধান্তে এখনো অনড় তিনি।
রাজনীতি থেকে সোহেল তাজ দূরে থাকলেও তার পরিবার এর সঙ্গে যুক্ত। তার ছেড়ে দেওয়া আসনে আওয়ামী লীগের টিকিটে টানা তিন বার এমপি হয়েছেন তার বড় বোন সিমিন হোসেন রিমি।
২০১২ সালের ৭ জুলাই সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। মাঝেমধ্যে সামাজিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিত থাকলেও রাজনীতিতে যুক্ত হবেন না বলে তখন সাফ জানিয়ে দেন সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে সোহেল তাজ ফের আলোচনায় আসেন আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে। তখন রাজনীতির অন্দরমহলে আলোচনা শুরু হয় যে, সোহেল তাজ রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন। ওই সময় তিনি দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে সোহেল তাজকে আনা হচ্ছে—এমন গুঞ্জনও শুরু হয়। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাকে দেখা যায়নি।
ব্যক্তিগত জীবনে সোহেল তাজের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে তুরাজ আহমদ তাজ লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেছেন। সোহেল তাজ পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে থাকেন।