চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর রেলস্টেশন এলাকার কলাপট্টিতে ককটেল বিস্ফোরণ
একুশে জার্নাল ডটকম
আগস্ট ১৫ ২০২০, ১৮:৩০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর রেল ষ্টাশনের কলাপট্টিতে একটি দোকান ঘরকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী আসগারের ডাবের আড়ৎতে সন্ত্রাসী হামলা ও ককটেল বিষফোরণ ঘটিয়ে তান্ডব চালিয়েছে মফিজ ও দূরুলের নেতৃত্বে একটি দল। হামলায় কেউ হতাহত না হলেও জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার রাতে হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত হোন এবং হামলা ও ককটেল বিষফোরণ এর আলামত সংগ্রহ করেন।
শুক্রবার রাতেই আড়ৎদার আসগারের বোন সিমা বেগম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
হামলার পর্তাক্ষদশি রেল ষ্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোতাহার হোসেন সূত্রে জানা যায় রাত ৮টার পর বেশ কয়েকটি ককটেল বিষফোরণের আওয়াজ শুনতে পাই।এবং কলাপট্টি এলাকার দূরুল, মফিজ ও তার ভাইয়েরা সহ বেশ কয়েকজন দৈড়ায়ে পালিয়ে যায়।
আড়ৎদার আসগার আলীর বোন সিমা বেগম এ প্রতিনিধির সাথে আলাপ কালে জানান গত ৮জুলাই দূরুল, মফিজের নেতৃত্ব তাদের লোকজন আমার ভাইয়ের আড়ৎএ হামলা চালিয়ে আমার ভাইকে এলোপাথারি কিল ঘুষি ও রোড দিয়ে পিটিয়ে মারে এবং মাথা ফাটিয়ে দেই। ঐ ঘটনায় আমার ভাই সদর থানায় মামলা করলে তারা কাউনন্টার মামলা করে এবং সেই থেকে আমার ভাই জেল হাজতে রয়েছে। দুরুল মফিজ গংরা আদালতে জামিনে নিয়ে গত ২২ জুলাই আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মেরে আড়ৎ থেকে বেড় করে আড়ৎএর দরজায় তালা লাগিয়ে দেই।আমি সদর থানায় জিডি দায়ের করলে পুলিশ এসে তালা ভেঙ্গে দিয়ে যায়। এবং বিবাদীদের এ জাতীয় কাজ পুঃরাই না ঘটে বলে নিষেধ করে জান।তারা গত রাতে আবারও আমাদের আড়ৎটি জবর দখল করার উদ্দেশে আবারও হামলা চালাই এবং ককটেল বিষফোরণ ঘটায়।এছারাও তিনি কান্ন জড়িত কন্ঠে জানান বাবা মা বেঁচে নাই ভাই আমাদের সব। ভাই জেলে থাকায় আমরা তাদের ভয়ে অসহায়ত্ব ও নিরাপত্তাহিনতায় ভূগছি।
আড়ৎদার আসগারের দুলাভাই আজিম আলী জানান দূরুল, মফিজ গংরা বিভিন্ন সময় দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই আড়ৎটা দখল করার চেষ্টা করে আমার শালার উপর বেশ কয়েকবার হামলা করে।তাদের আক্রোশের শিকার আমাদের আড়ৎএর ভারাটিয়া মিলন ও দুলাল মিলনকে অহেতুক দুটি মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।এবং মিলন প্রায় ১সপ্তাহর বেশী জেল খেটে জামিনে বেড় হয়েছে।এছারাও তিনি জানান দুরুল মফিজ গ্রুপের সদস্যাদের নাম-
দুরুল (৪২), আমানত (৩২), মফিজুল (৩৪), জিন্নাত আলী(২৪), আহম্মদ আলী (৩৬), গোলাম মোস্তফা (৫০) ও আঃ আলিম (১৯) হামলায় অংশ নেয়।
অভিযুক্ত দুরুলের সাথে কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সদর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম।সিমা নামে এক নারী অভিযোগ করেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।