চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাকে সুখী-সমৃদ্ধ, পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে গড়ে তুলবো: মাওলানা আব্দুল মতিন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ২৪ ২০২০, ১৮:৩১

বদিউজ্জামান রাজাবাবু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: আসন্ন ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাকে সুখী-সমৃদ্ধ, পরিচ্ছন্ন, অনিয়ম-দুর্নীতিমুক্ত, আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন শহর হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাবেক মেয়র আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল মতিন। একান্ত আলাপচারিতায় আবারো মেয়র নির্বাচিত হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে নিজের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন আব্দুল মতিন। এসময় তিনি বলেন, নিজের সবটুকু দিয়ে ৫ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার জনসাধারণের আস্থার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে বিভিন্ন কাজ ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও সম্পন্ন করতে পারিনি। মেয়র নির্বাচিত হলে পূর্বের ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে বাকি কাজ সম্পন্ন করবো, ইনশাআল্লাহ।

বিভিন্ন নাগরিক সুবিধার কথা উল্লেখ করে সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মাওলানা আব্দুল মতিন বলেন, মেয়র থাকাকালীন সময়ে কম খরচে নাগরিকদের চাহিদামাফিক পরিষ্কার পানি সরবরাহ করেছি। সেসময় জনসাধারণ ভোর ৪টার সময় তাদের কাঙ্খিত পানি সরবরাহ পেয়েছে। আমার সময়ে পানির বিল ছিল মাসিক ১০০ টাকা, কিন্তু বর্তমানে নাগরিকদের গুনতে হচ্ছে ৮’শ থেকে ৯’শ এমনকি ২৫০০ টাকা। অথচ অপরিষ্কার ও সময় মতো পাওয়া যায় না পৌরসভার সরবরাহকৃত পানি। আমার মেয়াদ কালে পানির সুষ্ঠ বন্টনের লক্ষ্যে ১৪টি গভীর নলকূপ স্থাপন করেছি এবং প্রতি ১ বছর পরপর পাইপ লাইন পরিষ্কার করা হতো, যা এখন হয় না।

শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে তার সময়ে সকালে ও বিকেলে করা হলেও এখন তা হয়না জানিয়ে তিনি বলেন, যত্রতত্র ময়লা-আর্বজনায় শহর এখন দুর্গন্ধে ভরপুর। চলাফেরায় নাগরিকদের বেহাল দশা। এটির সুষ্ঠ ও আধুনিক সমাধান করে নাগরিকদের জন্য প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ করে দিতে চায়। পৌরসভার অনিয়ম-দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাবেক মেয়র আরো বলেন, আমার মেয়াদকালে বিভিন্ন ভাতার কাজে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। বিভিন্ন অনিয়মের সাথে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ খাতের ১৪ জন পৌর কর্মীকে বরখাস্ত করেছিলাম। সেবা ক্লিনিকের সামনের রাস্তা নির্মানে অনিয়ম পাওয়া মাত্রই কাজ বন্ধ করেছি। ঠিকাদারদেরকে সর্তক করেছি, যতগুলো অবৈধ বিল হয়েছে, তার সবগুলোই আটকে দিয়েছি। এমনকি নিজের ভাইয়ের বিলে অসংগতি থাকায় সেটি করতে দেয়নি। উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক ট্যাক্স আদায়ে কোন ছাড় দেয়া হয়নি।

সাবেক মেয়র জানান, জনসাধারণের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনতে মতবিনিময় সভা করেছি, যা বর্তমানে দুর্লভ। মার্কেটের ভাড়া নিয়ে সমস্যা হয়েছে, এনিয়ে ৭ বার মতবিনিময় করেছি। নিজের উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মেয়র নির্বাচিত হলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, মাছ বাজার ও মার্কেটকে ঢেলে সাজানো হবে। পানির বিল কমাবো ও ট্যাক্স আদায়ও যথাযথ করাবো ইনশাআল্লাহ। বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও শেষ পর্যন্ত নাগরিকদের কথা ভেবে মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আব্দুল মতিন বলেন, আমার মেয়াদকালে পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে ৪ বার অবৈধ বিলবোর্ড উচ্ছেদ করেছি। মেয়র নির্বাচিত হলে আবারো তা করবো। বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের কারনে নিজের সময়ে সারাদেশের ৩২৪টি পৌরসভার মধ্যে সেরা ৩০ পৌরসভার মধ্যে স্থান পায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক মেয়র জানান ২০ জন কাউন্সিলের ২০জন পিএস রাখা শুধু শুধু অপচয় এদের কোন কাজ নেই এছাড়াও বর্তমানে যেভাবে নিজের ভাই বোন ছেলে মেয়েদের পৌরসভায় চাকরী দেওয়াটাও একটা দূর্নীতি আল্লাহপাক চাইলে আমি আগামীতে নির্বাচিত হলে সকল দূর্নীতি অনিয়ম ও অপচয় বন্ধে ব্যাবস্থা নিব।