চট্রগ্রামের পটিয়া আদালতে দুই শিক্ষানবিশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
একুশে জার্নাল
ফেব্রুয়ারি ০৭ ২০২০, ০০:২৬
পটিয়া প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই শিক্ষানবিশের বিরুদ্ধে সেবা প্রার্থীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন পটিয়া জুড়িশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত প্রবীণ আইনজীবীরা।
আইনী সেবা প্রার্থীদের কাছে আইনজীবী পরিচয়ে দিয়ে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি ও টাকার বিনিময় মামলা হাত বদল পাশাপাশি প্রতারণা অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে গত ২৩ জানুয়ারি পটিয়া আইনজীবী সমিতির কাছে লিখিত আবেদন করা হয়।
পটিয়া আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বদিউল আলমও স্বাক্ষর করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষানবীশ দুই আইনজীবিরা হলেন, পটিয়া উপজেলা দক্ষিণ খরনা এলাকার বাসিন্দা মৃত আবদুল আজিজের কন্যা আয়েশা আক্তার সুমি ও চকরিয়া উপজেলা পেকুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শাখাওয়াত হোসেন।
লিখিত অভিযোগে জুড়িশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট সহ আদালতে কর্মরত ১৪ জন আইনজীবী স্বাক্ষর করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, পটিয়া জুড়িশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইজীবীদের চেয়ারে বসে এসব শিক্ষানবিশরা আইনজীবী পরিচয়ে দিয়ে সেবা প্রার্থীদের সাথে প্রতারণা করে আচ্ছেন।
বিচার প্রার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলে টাকা আদায় করেন এবং কর্মরত আইনজীবীদের কাছ থেকে মামলা বাগিয়ে নিয়ে অন্য আইন জীবীদের কাছে টাকার বিনিময় হাত বদল করেন।
ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের শিক্ষনবিশকাল সময় পার হলেও আদালতে তাদের কোন সিনিয়র আইনজীবী নেই।
এরপরও তারা আদালতের বারান্দায় ও আশেপাশে ঘোরাঘুরি এবং সমিতির চেয়ার ব্যবহার করেন,সেবা প্রার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া এবং আইন ও বিচার সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করে থাকেন।
এ বিষয়ে দুই শিক্ষানবিশকে সতর্ক করা হলেও তারা সতর্ক না হওয়ায় এ বিষয়ে টাউট আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করা হয়।এ বিষয়ে শিক্ষানবিশ আয়েশা সুলতানা সুমি বলেন, তিনি অ্যাডভোকেট ফোরকানের সাথে শিক্ষানবিশ হিসেবে আদালতে কাজ করেন। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট ফোরকান কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুমি নামের তার কোন শিক্ষানবীশ আইনজীবি নেই।
শিক্ষানবিশ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, তিনি অ্যাডভোকেট এনামুল হকের সাথে কাজ করেন। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট এনামুল হক বলেন, শাখাওয়াত হোসেন নামে তার কোন শিক্ষানবিশ আইনজীবী নেই।
অ্যাডঃ ফোকান ও অ্যাডঃ এনামুল হক সহ দায়েরকৃত অভিযোগে অভিযোগকারী হিসেবে স্বাক্ষর করে বলে জানান।
পটিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপম নাথ জানান, দুই শিক্ষানবিশের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তারা পেয়েছেন। এ বিষয়ে সমিতির বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে আইনের সহায়তা নেওয়া আসা ব্যাক্তিরা হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে আইনজীবীদের অভিযোগ। বিষয়টি ব্যাবস্তা নেওয়ার দাবি জানান যাতে আর কোন নিরীহ ব্যাক্তি প্রতারণার স্বীকার না হয়।