চট্টগ্রামে ছদকায়ে ফিতর সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা ; সর্বোচ্চ ৯৮০ টাকা
একুশে জার্নাল
মে ১৭ ২০১৯, ২২:৫০

হাবীব আনওয়ার
চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তি এলাকার বাজারদর হিসেবে চলতি বছর ছদকায়ে ফিতর সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা ও
সর্বোচ্চ ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ ১৭ মে শুক্রবার দারুল উলূম হাটহাজারীর ফতোয়া বিভাগ থেকে প্রচারিত একটি ফতোয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী, মুফতী আজম বাংলাদেশ মুফতী আবদুচ্ছ সালাম ও মুফতী জসিম উদ্দিন সাক্ষরিত ফাতওয়া বিভাগের ঐ বিজ্ঞাপ্তিতে সাদকায়ে ফিতরার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
★ ফিতরার পরিমাণ ও হিসাব বের করার পদ্ধতি
* আটা হিসাবে জনপ্রতি ফিতরার পরিমাণ ১ কেজি ৬৩৬ গ্রাম । প্রতি কেজি আটার (ময়দা) বাজার মূল্য ৪২ টাকা। সুতরাং ছদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে ১.৬৩৬৩৫ = ৭৩.৫০ টাকা। আদায়ের সুবিধার্থে ৭৫/- টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আটা বাজার মূল্য অনুযায়ী জনপ্রতি ফিতরার পরিমাণ ৭৫ টাকা দিতে পারবে।
* খেজুর হিসাবে জনপ্রতি ফিতরার পরিমাণ ৩ কেজি ২৭২ গ্রাম। মধ্যম মানের প্রতি কেজি খেজুরের বাজার মূল্য ২৫০/- টাকা। সুতরাং ছদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে ৩.২৭২*২৫০ = ৮১৮ টাকা। আদায়ের সুবিধার্থে ৮২০/- টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
* কিসমিস হিসাবে জনপ্রতি ফিতরার পরিমাণ ৩ কেজি ২৭২ গ্রাম। প্রতি কেজি কিসমিসের বাজার মূল্য ৩০০/- টাকা। সুতরাং ছদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে ৩.২৭২ * ৩০০ = ৯৮১.৬ টাকা। আদায়ের সুবিধার্থে ৯৮০/- টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বি. দ্র. উল্লেখিত পরিমাণ চট্টগ্রাম শহর ও হাটহাজারী বাজারমূল্য অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্য এলাকার বাজার মূল্য এর চেয়ে কম-বেশি হলে উল্লেখিত পদ্ধতিতে হিসাব করে নিবে।
★ ফিতরার বিধান ও নিসাব
ছদকায়ে ফিতর নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের উপর ওয়াজিব। অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময়ে ঋণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য কিংবা এর সমমূল্য (বর্তমাণ রৌপ্য মূল্য প্রতি ভরি ১২০০/- টাকা করে ৬৩,০০০/-টাকা পরিমাণ অন্য সম্পদ বা টাকার মালিক হলে তার উপর ছদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে।
উল্লেখ্য যে, উপরোল্লিখিত নিসাব যাকাত ফরজ হওয়ার জন্যও প্রযোজ্য। তবে যাকাতের জন্য এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত।
নেসাবের মালিক ব্যক্তি নিজ ও নাবালেগ সন্তানদের পক্ষ হতে ফিতরা আদায় করবে। তবে নাবালেগ সন্তান নেসাবের মালিক হলে পিতা সতর্কতামূলক নিজ সম্পদ থেকে ফিতরা আদায় করে দিবে।
ছদকায়ে ফিতর উল্লিখিত পরিমাণ অনুযায়ী সরাসরি আটা (ময়দা), খেজুর বা কিসমিস দ্বারা আদায় করা যাবে।
উল্লিখিত জিনিস ব্যতীত অন্য কোন জিনিস দ্বারা ছদকায়ে ফিততর আদায় করতে চাইলে উক্ত জিনিসের যেকোন একটির মূল্য হিসাব করে সেই মূল্য অনুযায়ী তা আদায় করতে হবে। তবে গরীবদের ফায়দার দিকটি লক্ষ্য রাখা উচিত।
★ রোজা ও নামাযের ফিদয়া
শরীয়ত স্বীকৃত অবস্থায় কেউ রোজা বা নামাযের ফিদয়া দিতে চাইলে, এক ওয়াক্ত নামাযের জন্য (বিতির নামাযকে স্বতন্ত্র এক ওয়াক্ত নামায হিসাব করতে হবে) এক মিসকিনকে দু’বেলা খানা খাওয়াবে অথবা এক ফিতরা পরিমাণ টাকা দিবে, যা বর্তমান ৭৫/- টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।