ঘেরাও কর্মসূচিতে যা বললেন আল্লামা বাবুনগরী ও কাসেমী
একুশে জার্নাল
নভেম্বর ০২ ২০২০, ১৪:৩৮
আবির আবরার:
ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল নিয়ে কিছু দূর এগিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের বাধার মুখে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আমরা আপনাদের অনুরোধ রক্ষার্থে এবার এখানেই থেমে গেলাম। তবে আগামী কর্মসূচিতে আমরা থামবো না। ফ্রান্সের দূতাবাস টুকরো টুকরো করে ছাড়বো ইন শা আল্লাহ।
তিনি বলেন, আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস সংবিধানে পুনর্বহাল করতে হবে। হেফাজতে ইসলামের অন্যান্য দাবিগুলো মেনে নিতে হবে। জেনা-ব্যভিচার তথা ধর্ষণের শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে। শরীয়ত মতে প্রকাশ্যে হত্যা ও বেত্রাঘাত করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, মসজিদের শহর ঢাকা থেকে ভাষ্কর্যের নামে স্থাপনকৃত সকল মূর্তি অপসারণ করতে হবে। হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন মূর্তি অপসারণের আন্দোলন।
তিনি আরো বলেন, কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করতে হবে। এরা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবী মানে না। এরা মুসলমান নয়।
ঘেরাও কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণার আগে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, আজকের কর্মসূচি সঠিকভাবে পালন করতে পারায় সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শুকরিয়া আদায় করছি, তাদের সহযোগিতার জন্য।
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম ভাংচুর ও জ্বালাও পোড়াওয়ে বিশ্বাসী নয়। আমরা এসব কখনও করিনি, করবোও না।
তিনি আরো বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে বলছি, নবীর শানে যে বেয়াদবি করেছেন এ জন্য ক্ষমা চান, নইলে এই বেয়াদবির কারণেই ফ্রান্স ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, কাদিয়ানীদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। এরা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী না মেনে তার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে।