ঘরে ঘরে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক বিল: গ্রাহকদের ক্ষোভ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ৩০ ২০২০, ১৫:২৬

লকডাউনের মধ্যে রাজধানীতে ঘরে ঘরে ভুতুরে বিলের কাগজ ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। যা দেখে গ্রাহকের রীতিমতো মাথা খারাপ। ১০-১২ গুণ বেশি বিল এসেছে অনেকের। ৪৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল হয়েছে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। আর ৬-৭ হাজার টাকার বিল ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার না দেখে বিল করলেও পূর্বের রেকর্ড দেখে বিল করলে এতোটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হতো না। এর নেপথ্যেও কারসাজি আছে। কোনো কোনো এলাকায় অতিরিক্ত বিল কাঁটছাট করার জন্য মিটার রিডাররা উপরি দাবি করছে। ভূতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকদের ক্ষোভ এতোটাই বেড়েছে যে, ঈদের পরে তারা এ নিয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়ে বলেছে, গ্রাহকদের অতিরিক্ত কোনো বিল দিতে হবে না।

গত শনিবার বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কোনো কোনো গ্রাহকের মধ্যে কিছু বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উদ্দেশে এতে আরও বলা হয়, মহামারি করোনার বিস্তার রোধে বর্তমানে অনেক গ্রাহকের আঙ্গিনায় সরেজমিন গিয়ে মিটার রিডিং গ্রহণপূর্বক বিদ্যুৎ বিল প্রস্তত করা হচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বাধ্যবাধকতার ফলে গ্রাহক ও বিদ্যুৎ কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের আগের মাসের বা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের বিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাক্বলিত বিল প্রদান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাসুল মওকুফ করেছে। ফলে কোনো প্রকার বিলম্ব মাসুল ছাড়াই ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলের বিল আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা যাবে।

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কারো জিজ্ঞাসা বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। একই সঙ্গে ব্যাংকে বিল পরিশোধের পাশাপাশি সুবিধা অনুযায়ী বিকাশ/নিজস্ব বুথ/ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রাক্কলিত বিলের সঙ্গে গ্রাহকের প্রকৃত বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ কম/ বেশি বা কোনো অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলে পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে তা সমন্বয় করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ব্যবহৃত বিদ্যুতের বেশি বিল গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে না।

এদিকে, ভুক্তভোগি গ্রাহকরা জানান, মিটার রিডাররা কখনোই বাসায় গিয়ে বিল করে না। ফলে সমন্বয় কীভাবে করা হবে সেটা স্পষ্ট না। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারি-কর্মকর্তাদের ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ তাদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রাহকের সঙ্গে তারা দুর্ব্যবহার করে থাকেন।