গোয়াইনঘাট খাদ্য গুদামে অবৈধ মজুদকালে ২৬০বস্তা ধান জব্দ
একুশে জার্নাল
মে ১৬ ২০২৩, ১৭:৪৬
তানজিল হোসেন, গোয়াইনঘাট (সিলেট): সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার খাদ্য গুদামে সুনামগঞ্জ থেকে ট্রাকযোগে আসা ২৬০ বস্তা ধান অবৈধভাবে মজুদের সময় জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার পূর্নানগর খাদ্য গুদামে ট্রাকবর্তী ধান গুদামে লোড করা হচ্ছে খবর পেয়ে এলাকার কৃষককুল খাদ্য গুদামে জড়ো হন। এবং অবৈধভাবে খাদ্য গুদামে ধান মজুদের খবরটি এলাকায় চাউর হলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ উপস্থিত হয়ে এসব ধান জব্দ করেন।
জানা গেছে, এ বছর ৭শত মেট্রিক টনেরও বেশি বোরোধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও খাদ্য গুদামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা কৌশলে গোয়াইনঘাটের কৃষকদের ধান ক্রয় না করে ফিরিয়ে দেন। গুদামের দ্বায়িত্বে থাকা ওসিএলএসডি পলি দাস তার নিজ এলাকা সুনামগঞ্জ থেকে ধান ক্রয় করে গুদামে মজুদ করতে শুরু করেন। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন গোয়াইনঘাটের কৃষকরা।
গোয়াইনঘাট খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের দূর্নীতির কারণে কৃষকরা তাদের ধান বিক্রি করতে পারেন না বলে ব্যপক অভিযোগ উঠেছে। তারা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় না করে নিজেরাই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসিএলএসডি পলি দাসের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, আমি সিলেট জেলা অফিসে একটা মিটিংয়ে আছি। তিনি বলেন, ধানগুলো কৃষকরাই দিয়েছে সুনামগঞ্জের নয় ! তিনি মুঠোফোনে বার বার প্রতিবেদকের সাথে দেখা করার কথা বলেন।
ট্রাকের হেলপার সাবুল বলেন, ২৬০বস্থা ধান ১০হাজার টাকা ভাড়ায় সুনামগঞ্জ থেকে গোয়াইনঘাটে নিয়ে এসেছি। ধানগুলো কে আনিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার (ওস্তাদ) ড্রাইভার বলতে পারবেন। ঐ সময় ট্রাকের চালককে পাওয়া যায় নি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক জানান, ২৬০বস্তা ধান জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, ধানগুলো সুনামগঞ্জ থেকে এসেছে ঐ সত্যতা আমি পেয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত করে দেখা হবে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির সু-ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।