গুনাহের কথা মনে হলে নামাযে দাঁড়াবেন। আল্লামা মাহমূদুল হাসান
একুশে জার্নাল ডটকম
জানুয়ারি ৩১ ২০১৯, ১৯:২০

মাহমুদ আবদুল্লাহ:
রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম ও হযরত আবরারুল হক রহ. এর খলিফা মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমূদুল হাসান দা. বা. বলেন, যখন
গুনাহের কথা মনে হবে তখন অযু করে নামাযে দাঁড়িয়ে যাবেন। অথবা জিকির বা কুরআন তেলাওয়াত করবেন। আল্লাহর ওলি হতে চান? অথচ গুনাহ ছাড়বেন না! গুনাহ না ছেড়ে কেউ আল্লাহর ওলি হতে পারে না।
গতকাল ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার
যাত্রাবাড়ী মাদরাসার শাহী জামে মসজিদে এশার নামাযের পর
মাসিক শবগুজারি ইসলাহি বয়ানে তিনি ভক্ত ও মুরিদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি বলেন- মনে রাখবেন, গোনাহ এবং পাপ ইহকাল এবং পরকালের জন্য সর্বনাশের কারণ। তাই সর্বপ্রকার গোনাহ থেকে সম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকুন। অন্যথায় ইহকাল এবং পরকাল উভয় জগতে আল্লাহপাকের কঠোর আজাবে আক্রান্ত হতে হবে।
আল্লামা মাহমূদুল হাসান দা. বা. আরও বলেন- আমার সাথে যারা মুহাব্বত রাখেন, তারা অবশ্যই অযু করে ঘুমাবেন। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে দুই রাকাত নামায পড়ে মুরাকাবা করে ঘুমাবেন। এতে আত্মশুদ্ধি হবে। আল্লাহ সাথে মুহাব্বত বাড়বে।
যারা এখনও কুরআন শুদ্ধ করে পড়তে পাড়েন না, তারা কমপক্ষে নামাযের জন্য প্রয়োজনীয় সূরা ও তাশাহুদ, দু’আয়ে মাসুরা, দু’আয়ে কুনুত ইত্যাদি অতিসত্বর শিখে নিবেন। আপনাদের জন্য কুরআন ও শরীয়তের মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা করা এখন অত্যন্ত সহজ। কোনো হুজুর বা মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে এগুলো শিক্ষা করবেন।
তিনি ভক্ত ও মুরিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা গুনাহ ও নেকি লিখার জন্য খাতা তৈরি করেন। গুনাহ ও নেকি লিখে হিসাব করবেন, কোনটা বেশি ও কোনটা কম। খাওয়া কমিয়ে দেন। হালাল খাবার খান, দেখবেন এমনিতেই খাওয়া কমে গেছে। ঘুম কমিয়ে দেন। দৈনিক ৫ ঘন্টা ঘুমের অভ্যাস করুন। অহেতুক কাজে বা খারাপ লোকদের সাথে মেলামেশা কমিয়ে দেন। মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করবেন, দেখবেন আপনার দ্বারা কোনো অপরাধ বা গুনাহ হবে না।