গাজায় গণহত্যা নিয়ে ওআইসি’র জরুরী বৈঠক
একুশে জার্নাল
মে ১৯ ২০১৮, ০২:২৭
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা নিয়ে শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসেছে মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ সংগঠন ওআইসি।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি এবং গাজায় ফিলিস্তিন বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলি হামলায় হতাহতের ঘটনার নিন্দা জানাতে শুক্রবার ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এ জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান।
এদিকে গাজা গণহত্যার আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন। একই সঙ্গে গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি ইসরাইলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞকে ‘সম্পূর্ণ একপাক্ষিক’ বলে এর নিন্দা জ্ঞাপন করেন তিনি।
আনাদুলু নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা জরুরি বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। গত ছয় মাসের মধ্যে এটি এরদোগানের আমন্ত্রণে ওআইসির দ্বিতীয় জরুরি বৈঠক।
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদে এরদোগান গত বছরের ডিসেম্বরে ওআইসির বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করেন।
বৈঠকে তিনি ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকাসহ পুরো ফিলিস্তিনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। ইসরাইল সীমান্তের কাছে বেশ কিছু পয়েন্টে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী নির্বিচার গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে অর্ধশতাধিকের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন।
আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২শ’ মানুষ। হতাহতদের মধ্যে বহু শিশুও আছে। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার আগে প্রেসিডেন্ট রুহানি সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ ও পবিত্র আল কুদ্স রক্ষা করা মানে ইসলামী মূল্যবোধ এবং একটি সভ্য জাতি, যা এখন শোচনীয় পরিস্থিতির মুখে রয়েছে তাদেরকে রক্ষা করা।
ইরান, বাংলাদেশ, কাজাখস্তান, সৌদি আরব, লিবিয়া, আজারবাইজান, তিউনিসিয়া, লেবানন, ইরাক এবং মিসরসহ ওআইসির ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওই বৈঠকে যোগ দেবেন। তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে যৌথভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। সম্মেলন শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হবে।