গণকমিশনের ১১৬ জনের তালিকায় একজন মৃত, আরেকজন ভারতীয়
একুশে জার্নাল ডটকম
মে ১৬ ২০২২, ১৪:২৯
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: ১১৬ জনের তালিকায় আছেন এমন একজন হচ্ছেন চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও জামিয়া আরবিয়া ইসলামিয়া জিরির মুহাদ্দিস।
গণকমিশনের এ তালিকা নিয়ে বেসরকারি এক টিভি চ্যানেলের সঙ্গে একান্ত আলাপে এ কথা বলেছেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আমরা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত নই। জঙ্গি অর্থায়নের কথা বলা হয়েছে এটাও সত্য নয়। আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলা হয়েছে। আমরা যা বক্তব্য দেই সব অনলাইনেই আছে। আমরা সব সময় এদেশের জাতি গোষ্টি সাম্প্রদায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য মানুষকে আহ্বান করে থাকি। কেনো আমাদের নামগুলো সংযোজন করেছেন বুঝে আসে না।
৩০ নম্বরে যার নাম দিয়েছে মাওলানা মতিউর রহমান মাদানি ওনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা। ওনি এখন থাকেন সৌদিআরবে। ওনার নামও এখানে যুক্ত হলো। তাহলে তো যথাযথ তদন্ত হয়নি।
আরেকজন অন্ধ হুজুরের নাম আছে ওনি তো মারা গেছেন। তাহলে এটা কোন ধরনের তদন্ত। একজন নাগরিক আরেকজন নাগরিকের বিরুদ্ধে এভাবে তদন্ত করে জমা দেয়ার ক্ষমতা তাদের কে দিয়েছে? এভাবে তদন্ত করার কি আইনগত কোনো বৈধতা আছে?
ড. আ ফ ম খালিদ বলেন, এটা করতে পারে রাষ্ট্র। তদন্ত কমিশন রাষ্ট্র গঠন করতে পারে। তারা নয় মাস ধরে এক হাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ১১৬ জন বিভিন্ন ঘরনার আলেমের বিরুদ্ধে একটা রিপোর্ট জমা দেয়ার অর্থ হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পায়তারা বলে আমাদের মনে হচ্ছে। যাদের নাম দেয়া হয়েছে তাদের অনেকেই আছেন অনেক শ্রদ্ধাভাজন। তারা রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। তারা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। দুদক তদন্ত করে দেখুক। নির্বাচনের আগে তারা এগুলো কেনো করলো?
গণকমিশনের অনেকেই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ছিলেন জানিয়ে ওমরগণি এমইএস কলেজের সাবেক অধ্যাপক বলেন, ওনার (তুরিন আফরোজ) বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর ওনাকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। ১১৬ জন আলেমের মধ্যে একজন ভারতীয় আরেকজন মৃত। আর থাকলো ১১৪ জন। এদের বিদেশে কোনো বাড়ি আছে আমার মনে হয় না। আমি তাদের অধিকাংশকেই চিনি।
তিনি বলেন, এ তালিকা দেখলে দেখবেন এদেশের সব ঘরণার উলামায়ে কেরামকে এতে যুক্ত করা হয়েছে। মোটকথা এদেশে যারা ইসলামকে ফোকাস করে তাদের সবাইকেই টার্গেট করা হয়েছে। দেওবন্দী, আলিয়া, বেরলবী, আহলে হাদিস কাউকেই বাদ দেয়া হয়নি। গণকমিশনের এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি আমি মনে করি সব মাসলাকের আলেমদের একসঙ্গে হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। প্রেস কনফারেন্স করতে হবে। দুদকে স্মারকলিপি দিতে হবে। তাদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে বিদেশি কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। শ্বেতপত্র প্রকাশ সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা এর নিন্দা ও তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আমি তালিকায় নাম আছে এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিবো। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে আমরা আইনিভাবে এর মোকাবেলা করবো।