খুনি চক্র বাংলাদেশের নাম ‘ইসলামিক রাষ্ট্র’ করতে চেয়েছিলো
একুশে জার্নাল ডটকম
আগস্ট ০১ ২০২১, ২০:৩৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি চক্র বাংলাদেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ পরিবর্তন করে ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ করতে চেয়েছিলো। এ সংক্রান্ত একটি খসড়াও তারা তৈরি করেছিল। যদিওমানুষ তা মেনে নেয়নি।
শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিনে রবিবার (১ আগস্ট) ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে কৃষক লীগ আয়োজিত রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি কর্মসূচিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ওইদিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয়, একটি আদর্শকে হত্যা করা হয়েছে। এ দেশের বিজয়কে নস্যাৎ করা এবং একটি জাতির মর্যাদা নষ্ট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির জনকের পরিবারের কেউ যেনো আর এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে না পারে সেজন্য পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হত্যা করা হয় ১৫ আগস্ট। উদ্দেশ্য ছিল একটাই- বাংলাদেশের বিজয়কে হত্যা করা।
প্রধানমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, হত্যার বিচার করেছি, কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা সেটা এখনও উদঘাটন হয়নি। সেটা একদিন উদঘাটন হবে।
পনেরই আগস্টের খুনিদের সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সংযোগ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফারুক-রশিদ বিবিসিতে যে ইন্টারভিউ দিয়েছে সেখানে তারা বলেছে, জিয়াউর রহমান‑ যে উপ-সামরিক প্রধান ছিল‑ তার সাথে তাদের যোগাযোগ ছিল, সম্পর্ক ছিল যে সফল হতে পারলে তাদের সমর্থন দেবে, সঙ্গে থাকবে। মোশতাক-জিয়ার যে সখ্য ও তাদের যে সম্পর্ক এটা তো পরিষ্কার। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ সে আদর্শ থেকে কিন্তু বাংলাদেশ বিচ্যুত হয়ে যায়।
পরবর্তীতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়ার পথ ধরে জেনারেল এরশাদ এই খুনিদের রাজনীতি করার অধিকার দেয়। তাদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতা বানান। ৯৬ সালে আমরা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসি তখন এই বিচারের রায়ের দিন খালেদা জিয়া হরতাল দেয়। যাতে বিচারক আদালতে আসতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই খুনিদেরকে আবার পৃষ্ঠপোষকতা করে। কাজেই দেশের ভেতরে এই ধরণের কর্মকাণ্ড তো প্রমাণ করে‑ ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী তারাই কিন্তু ক্ষমতাটা দখল করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, যিনি এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। হত্যা করা হয় আমার মা, যিনি সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। শুধু সংসার চালাননি পর্দার অন্তরালে থেকে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতার জন্য।
কৃষক লীগের আয়োজিত সভায় এসময় আরো বক্তব্য প্রদান করেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।