খতমে বুখারীতে মুফতী তাক্বী উসমানীর ৬টি মূল‍্যবান উপদেশ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ২০ ২০১৯, ০৫:০২

শ্রুতিলিখন: যোবায়ের কুরাইশী, করাচি, পাকিস্তান
ভাষান্তর: আশরাফ আলম কাসেমী নদভী

গতকাল সকালে (১৯-০৩-২০১৯ মঙ্গলবার) জামিয়া দারুল উলুম করাচির শাইখুল হাদীস মুফতী মুহাম্মদ তাক্বী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ বুখারী শরীফের সমাপনী ক্লাস শেষে বিদায়ী ভাষণে উপদেশমূলক কিছু কথা বলেন, যা ছিল নিম্নরূপ-
“সকলে এক সাথে মিলিত হয়ে সমষ্টিগত ভাবে আজকের এই সাক্ষাৎ সম্ভবত সর্বশেষ সাক্ষাৎ হবে । তাই সদা-সর্বদা কয়েকটি কথা স্বরণে রাখবে ।

এক.
জীবদ্দশায় ও মৃত্যু পরবর্তী সময়ে সর্বাবস্থায় আমাকে তোমাদের দোয়াতে স্বরণ রাখবে ।

দুই.
দাওরা হাদীস থেকে ফারেগ হওয়া (দাওরা হাদীস সমাপ্ত করা) -ই জ্ঞানের পূর্ণতার নাম নয় । বরং এটি জ্ঞানের একটি সূচনা মাত্র ।

তিন.
সামগ্রিকভাবে মৌলিক উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা নয়, বরং আমল করার নিমিত্তে অর্জন করা । সুতরাং এটিকে আমলের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যদি কোনো আল্লাহ ওয়ালা ব‍্যক্তির সান্নিধ্য লাভ করা যায় তাহলে তো অনেক ভালো, নতুবা হযরত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর মাওয়ায়েজ (বয়ান সমগ্র) পড়তে থাকা। এই কথার উপর আরো বেশি গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেখো! বিষয়টি বুঝে না এলেও অনুসরণ কল্পে এ উদ্দেশ্যে হলেও মর্যাদা রক্ষার চেষ্টা করবে যে, বিদায় বেলায় কোনো এক বন্ধু (তাক্বী উসমানী হাফিজাহুল্লাহ) কোনো একটি কথা বলেছিলেন।

চার.
নিজের মনকে সন্তুষ্ট করা থেকে সদা বিরত থাকবে । কেননা, এটি পরিষ্কারভাবে ধোঁকাবাজি করে।

পাঁচ.
আপন উস্তাদ মহোদয়গণের ছত্রছায়ায় থেকে কাজ করবে । তাঁদের উপর পূর্ণ আস্থা রাখবে ‌। সমগ্র পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোর পর আলহামদুলিল্লাহ ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ এই বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে স্পষ্ট হয়েছে যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সত্যিকারের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন দেওবন্দের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ।

ছয়.
হযরত মুফতী মুহাম্মদ তাক্বী উসমানী বলেন, আমার দৈনন্দিনের আমল হলো আমি প্রতিদিন আমার সাথী তথা ছাত্রদের কল‍্যাণের জন্য দোয়া করি ।
অতঃপর তিনি স্বরচিত একটি কবিতা আবৃত্তি করেন-

হে তাক্বী ! দৃষ্টির আড়ালে থেকেও সে আমার কাছেই থাকে, কেননা ভুলে যাওয়া আমার প্রেমের চরিতে লজ্জার তিলক।