‘ক্লিন সুরমা গ্রীন সিলেট’ প্রজেক্টে অংশগ্রহণ করলেন ব্রিটিশ এমপিরা
একুশে জার্নাল ডটকম
সেপ্টেম্বর ১৬ ২০১৯, ১৮:৪৬
একুশে জার্নাল ডেস্ক
সিলেটের সকল তরুণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত “ক্লিন সুরমা গ্রীন সিলেট” প্রজেক্টটি অতি স্বল্প সময়েই পুরো দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জাতীয় পর্যায়ের পর এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ও ছড়িয়ে পড়লো তরুনদের এই কার্যক্রম।
আজ ১৬ই সেপ্টেম্বর, রোজ সোমবার ‘ব্রিটিশ কনজার্ভেটিভ পার্টি’র তিনজন এমপি তাদের পুরো টীম সহ সিলেটের ক্বীনব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ‘ক্লিন সুরমা গ্রীন সিলেট’ প্রজেক্টে তরুণদের সাথে অংশগ্রহণ করেন।
প্রজেক্টে অংশগ্রহণকারী ব্রিটিশ এমপিরা হচ্ছেন: এনি মারগারেট মেইন, বব ব্ল্যাকম্যান এবং পল স্কোলি।
এছাড়াও তাদের সহকারীবৃন্দ এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনেক কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ক্বীনব্রীজ আঙিনায় তারা এসে পৌঁছুলে স্কাউটসের সদস্যরা ব্রিটিশ এমপিদের গার্ড অফ অনার এর মাধ্যমে বরণ করে নেন।
প্রজেক্টে অংশগ্রহনকালে ব্রিটিশ এমপিরা সিলেটের তরুণদের এই কার্যক্রমে অভিভূত হয়ে বলেন, “সিলেট তথা বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ। এখানকার তরুণ সমাজ যেভাবে পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে এসেছে, তা আসলেই দৃষ্টান্তস্বরূপ। আমরাও তাদের সাথে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে এখানে অংশগ্রহণ করতে পেরে গর্বিত “।
এরপর ব্রিটিশ এমপিরা দল বেঁধে ক্বীনব্রীজ আঙিনায় সুরমা নদীর পারে ময়লার স্তুপগুলোতে নেমে তরুণদের সাথে ময়লা পরিষ্কার করতে নেমে পড়েন। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এই কার্যক্রমে তারা নদীর এক সাইডের একাংশ পুরোটাই পরিষ্কার করে ফেলেন।
কার্যক্রম চলাকালে ব্রিটিশ এমপিরা ভবিষ্যৎে ও এই প্রজেক্টের সাথে সর্বাত্মক থাকার আশ্বাস প্রদান করেন এবং তরুণদেরকে উৎসাহ প্রদান করেন।
“ক্লিন সুরমা গ্রিন সিলেট” প্রজেক্টের মুখপাত্রদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, প্রজেক্ট শুরুর মাত্র ১৩তম সপ্তাহের মধ্যেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে যে সমর্থন তারা পাচ্ছেন – তা আসলেই অভূতপূর্ব। এই প্রজেক্টে ব্রিটিশ এমপিদের অংশগ্রহণ স্বভাবতই একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে রচিত হয়েছে।
যে লক্ষ্য নিয়ে তারা এগোচ্ছেন, সকলের সমর্থন থাকলে খুব শীঘ্রই তারা সে লক্ষ্যে পৌছাতে পারবেন বলেই তাদের বিশ্বাস।
প্রজেক্টের আজকের কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটস রেলওয়ে ডিস্ট্রিক্ট, ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ, সাইকেল ট্রাভেলার্স অফ সিলেট, সোশ্যাল ওয়ার্কার্স অফ সিলেট, রুরাল টু আরবান, অণুবীক্ষণ সহ আরো অনেক সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকেরা।
এছাড়াও প্রজেক্টের মুখপাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইফতি সিদ্দিকি, মনজুর আহমেদ আরিফ, আনিস রহমান ইয়াহিয়া, আফজাল হোসাইন নাঈম, আহমেদ শাহরিয়ার সোহান, খান আবাদ, মিতা রহমান।
উল্লেখ্য, গত ২১শে জুন,২০১৯ তারিখে সম্মানিত মেয়র মহোদয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে এই দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্টের পথচলা শুরু হয়। প্রজেক্ট শুরুকালীন সময় থেকেই সিলেট সিটি কর্পোরেশন তরুণদেরকে সবধরনের সহায়তা করে আসছেন।
প্রতিদিনের কার্যক্রমে ময়লার গাড়ি,বিশুদ্ধ খাবার পানির ট্যাংক, শ্রমিক সহ যাবতীয় সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন তারা।
এছাড়াও যুবসমাজের চাহিদাকে মাথায় রেখে ক্বীনব্রীজ এলাকার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সিটি কর্পোরেশন নতুন লাইট, সিসি ক্যামেরা, বড় বড় ডাস্টবিন, পার্কের বেঞ্চ স্থাপন সহ সার্বক্ষণিক মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসছে এই স্থানটিকে। মাননীয় মেয়রের নিজ তত্ত্বাবধানে শীঘ্রই এই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করবেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন।