নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে গত বছর হামলা চালানো শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট শিগগিরই ওই ঘটনায় রক্ষা পাওয়া ব্যক্তিদের মুখোমুখি হচ্ছেন। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় হামলাকারী ট্যারেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় শুনানির পর সাজা ঘোষণা করা হবে। তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে গত মার্চে ৫১ জনকে হত্যা, ৪০ জনকে হত্যার চেষ্টা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, ক্রাইস্টচার্চের আদালতে চার দিনের শুনানি আগামী সোমবার শুরু হতে পারে। এ শুনানি ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ও গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও বেঁচে যাওয়ার কিছু ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করে ব্রেন্টন ট্যারেন্টের মুখোমুখি করা হবে।

নিউজিল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডের বলেন, ওই হামলার ঘটনায় ক্ষত এখনো কাঁচা। এই ঘটনায় সাজা ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হবে।
এর আগে আদালত ভিডিওর মাধ্যমে অকল্যান্ডের কারাগার থেকে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আদালতে হাজিরা দেখানো হয়।

নিউজিল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডের বলেছেন, ওই হামলার ঘটনায় ক্ষত এখনো কাঁচা। এই ঘটনায় সাজা ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হবে। এ ঘটনার উপসংহার টানা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য স্বস্তি হবে বলে বিবেচনা করা হয়েছে।

এ মামলায় ৬০ জনের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বিবৃতি দেবেন, যাঁরা দেশের বাইরে থেকে এসেছেন। বর্তমানে তাঁদের দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিন রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের কারণে কয়েক শ ব্যক্তিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসতে হবে। অনলাইনে কেউ কেউ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, অনেকের জন্য এটা কঠিন সপ্তাহ যাবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে মানুষকে তা শুনতে হবে।