‘ক্রসফায়ারে’ ৯ জেলায় ১১’মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ২২ ২০১৮, ০৭:৪০

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মাঝে আজও দেশের ৯ জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১১ জন নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে কুমিল্লায় দুইজন, নীলফামারিতে দুইজন এবং নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, ফেনীর লেমুয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর এবং চট্টগ্রামে একজন করে মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

নীলফামারী
আমাদের সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুরের সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোলাহাট বধ্যভূমি এলাকা থেকে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। তারা হলেন- শহরের নিচু কলোনী এলাকার জনী (৩৪) ও ইসলামবাগ এলাকার শাহিন (৩২)।

এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় এবং ভোরে তাদের দুজনের লাশ গোলাহাট এলাকায় পাওয়া যায়।

সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, আটক মাদক ব্যবসায়ীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, গোলাহাট বধ্যভূমি এলাকায় জসিয়ার রহমান জসি ও নূর বাবু নামে দুইজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাদকের বড় চালান নিয়ে আসবেন। ওই কথার সূত্র ধরে আটক দুইজনকে নিয়ে সেখানে গেলে এসময় গুলি চালানো হয় ও ককটেল ফাটানো হয়। ফলে ঘটনাস্থলে ওই দুইজন মাদক ব্যবসায়ী মারা যায় এবং ৪ জন পুলিশ গুরুতর জখম হয়। আহত পুলিশরা হচ্ছেন সৈয়দপুর থানার দারোগা ওয়াদুদ হোসেন, কনস্টেবল মোকারম হোসেন, আমিরুজ্জমান ও রাশেদুল ইসলাম।

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।

কুমিল্লা
কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শরীফ ও পিয়ার নামে তালিকাভুক্ত শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে জেলা সদরের অদূরে বিবির বাজার অরণ্যপুর এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতদের মধ্যে মধ্যে মো: শরীফ জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মহেষপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের পুত্র। তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে। অপর নিহত পিয়ার আলী আদর্শ সদর উপজেলার শুভপুর গ্রামের আলী মিয়ার পুত্র। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মাদকের মামলা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকের একটি বড় চালান আসছে গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমনের নেতৃত্বে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া, ডিবির ওসি নাছির উদ্দিন মৃধা, কোতয়ালীর ওসি (তদন্ত) মো: সালাহ উদ্দিনসহ ও ডিবি পুলিশের একাধিক পৃথক টিম ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত পৌনে ১টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। অভিযানে অংশ নেয়া কুমিল্লা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম জানান, ঘটনাস্থলে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শরীফ (২৬), পিয়ার আলী (২৮) ও সেলিম গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার মাদক ব্যবসায়ী শরীফ ও পিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযান চলাকালে কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুপ কুমার, এসআই শাহ আলম, কনস্টেবল তানভীর এবং ডিবির এএসআই শাহীনুর আলম আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার, একটি পাজারো জিপ, ৫০ কেজি গাঁজা এবং ৫০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বাচ্চু খান (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট ও বিদেশি অস্ত্র।

মঙ্গলবার সকালে আড়াইহাজারের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিমুলতলী এলাকা নামক স্থানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত বাচ্চু খান রাজধানী ঢাকার উত্তরার উত্তরখান এলাকার আশরাফ খানের ছেলে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ের কাজে তাদের ব্যবহৃত একটি জিপ গাড়িও উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধারের জন্য রুপগঞ্জের ৩শ ফিট এলাকায় র‌্যাব টহল দিচ্ছিল। এ সময় র‌্যাব একটি প্রাইভেটকারকে থামানোর জন্য সংকেদ দেয়। প্রাইভেটকারটি র‌্যাবের ব্যারিকেট ভেঙ্গে পালানোর চেস্টা করে। পরে র‌্যাবের দল উপজেলার শিমুলতলীতে পাই্রভেট কারটি আটক করে। এ সময় গাড়িতে থাকা ৩ জন মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব ও পাল্টা গুলি ছুড়ি। এতে ঘটনাস্থলেই বাচ্চু নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। পালিয়ে যায় ২ জন। এ সময় ১ র‌্যাবসদস্য আহত হন।

র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন ও আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছে। এই ব্যাপারে মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।

হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হাবিব ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, লাশের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানিয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়জিদ বোস্তামি থানার ডেবারপাড় এলাকায় র‌্যাবের সাথে ‘গুলি বিনিময়ে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। র‌্যাব দাবি করেছে, সোমবার দিবাগত রাত ২টায় নিহত ব্যক্তির নাম শুক্কুর আলী (৪৫)।

নিহত ব্যক্তি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং ১০টির অধিক মামলার আসামি দাবি করে র‌্যাব জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি ওয়ান শুটারগান এবং ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জন র‌্যাব সদস্য আহত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয় বলেও র‌্যাবের দাবি।

র‌্যাব-৭ এর এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্র বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে বায়জিদ বোস্তামি থানার ডেবারপাড় জামতলাস্থ বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনীর পূর্ব পার্শ্বে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ আসে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত মধ্যরাত ২টায় র‌্যাব-৭ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র‌্যাবকে লক্ষ করে এলোপাথারিভাবে ‘গুলিবর্ষণ’ শুরু করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানিয়েছে, আতœরক্ষা ও সরকারী জানমাল রক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ১টি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ২ রাউন্ড খালি খোসা এবং ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায় যে, নিহত ব্যক্তি চট্টগ্রামের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী/মাদক সম্রাট শুক্কুর আলী (৪৫), পিতা- মোঃ হেলাল উদ্দিন, মুকুন্দপুর, (ভূঁইয়া বাড়ী), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।

নিহত শুক্কুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ১০টির অধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা উল্লেখ করে সূত্র জানায়, নিহত ব্যক্তি, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদক সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের পশ্চিম পাশের মাঠে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে কামরুজ্জামান সাধু খাঁ (৪৫) নামের অপর এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি এবং ১ বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানার ৪ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত কামরুজ্জামান সাধু আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী থানাপাড়ার মৃত এমদাদুলের ছেলে। তিনি এতদাঞ্চলের শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী; তার নামে আলমডাঙ্গা থানায় ১২টি মাদক মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গা স্টেশনের পশ্চিম দিকের একটি জঙ্গলের ভেতরে ৮/১০ জন মাদক বিক্রেতা অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ওই স্থানে অভিযান চালায়। রাত দেড়টার দিকে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাদক বিক্রেতারা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কামরুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে বন্দুকযুদ্ধের সময় আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হামিদ, কনস্টেবল মাসুদ রানা ও রাকিবুল হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, ঘটনাস্থল তল্লাশি করে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদক পাচারসহ ১২টি মামলা রয়েছে।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নিহতের মাথায় ও বুকে একটি করে দু’টি গুলির চিহ্ন প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নেত্রকোনা
নেত্রকোনা সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আমজাদ হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার পশ্চিম নাগড়া গাইনপাড়ার মৃত আলী হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আমজাদ একজন মাদক ব্যবসায়ী, খুনী ও অস্ত্রধারী। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে।

নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, আমজাদকে তার বাড়ি থেকে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আটক করা হয়। তারপর তাকে নিয়ে অভিযানে গেলে রাত ৩টার দিকে উপজেলার বড়য়ারী ঘাট এলাকায় তার সঙ্গীরা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আমজাদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযানে ৫০০ গ্রাম হিরোইন, ৫টি ইয়াবা, একটি কাটা রাইফেল ও একটি কার্তুজ উদ্ধারের কথাও জানায় পুলিশ।

এদিকে, বিভিন্ন ‍সূত্রে জানা গেছে, নিহত আমজাদ বিএনপির একজন কর্মী ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে র‌্যাবের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধন মিয়া (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সে উপজেলার মরিচাকান্দি গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে। এঘটনায় নিহত ধন মিয়ার স্ত্রী আরজিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে।

র‌্যাব-১০ সিপিসি-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর সদস্যরা সোমবার রাতে নারায়নগঞ্জের নিতাইগঞ্জে অভিযান চালায় এসময় ধন মিয়া ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে তারা বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুরে আসলে র‌্যাব তাদের পিছনে সেখানে চলে আসে। এসময় ল্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করে ধন মিয়া। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় ধন মিয়া ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তল্লাশী করার হলে তার হেফাজত থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা, নগদ ৪৮ হাজার ৭শ’ টাকা, একটি বিদেশি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, একটি প্রাইভেটকার ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহত ধন মিয়ার স্ত্রী আরজিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। ধন মিয়ার বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় ৪টি মামলা রয়েছে।

ফেনী
সদর উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লেমুয়া এলাকায় গতকাল সোমবার রাতে র‌্যাবের সাথে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম মঞ্জুর আলম মঞ্জু।

দিনাজপুর

বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, দিনাজপুরের বিরামপুরে পৌরসভার মিরপুর এলাকায় পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে প্রবল হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহত প্রবল হোসেন উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে স্থানীয় থানা পুলিশের একটি দল উক্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এসময় মাঠের দিকে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাদের লক্ষ করে গুলি চালায়। এমতাবস্থায় পুলিশও পাল্টা গুলি করলে প্রবল হোসেন নিহত হয়। বাকিরা ধাওয়া খেয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা সবাই মাদক ব্যাবসায়ী বলে ধারণা করছে পুলিশ।

দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে পুলিশের দুই এস.আই রাম চন্দ্র ও খুরশিদ আলম আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৫টি ককটেলসহ ৯২ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সবুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।