ক্যাসিনো চালানোতে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা ; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
একুশে জার্নাল ডটকম
সেপ্টেম্বর ১৯ ২০১৯, ১৮:২৮
অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর সঙ্গে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ কথা বলেন তিনি।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তান, ফকিরাপুল ও বনানীর চারটি ক্যাসিনোতে (জুয়ার আসর) অভিযান চালিয়ে সেগুলো সিলগালা করে দেয় র্যাব। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কিছু নেতা দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ ক্যাসিনো চালিয়ে আসছিলেন।
এর মধ্যে একটি ক্যাসিনো চালাতেন আওয়ামী যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। গতকাল গুলশানের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত অন্য নেতারা গা ঢাকা দেন। তবে চার ক্যাসিনো থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা ১৮২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ক্যাসিনোতে অভিযান নিয়ে আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ক্যাসিনো চলার বিষয়টি পুলিশের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানতেন বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। না জানাটা ব্যর্থতা কি না, আর জেনে যাঁরা নিশ্চুপ ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না?—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দারাই আমাদের তথ্য দিয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অপারেশন শুরু হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রশাসনের কেউ যদি এখানে জড়িত থাকেন, বা কারও বিরুদ্ধে যদি সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হবেন।’
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনোসহ নানা ধরনের জুয়া চলে আসছিল। দেশের প্রচলিত আইনে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড হলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা যুক্ত থাকায় সেগুলো বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে গত শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগর যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের চার দিনের মাথায় বুধবার অভিযান হলো।