কোটা সংস্কার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
একুশে জার্নাল
এপ্রিল ০৯ ২০১৮, ১৭:৪৫
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারে সরকারের আশ্বাসে মাঠ ছাড়েনি আন্দোলনকারীরা। সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয় আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের। সেখানে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নতুন করে হাজারো শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, কৌশলে আন্দোলন বন্ধ করার কোনো চক্রান্ত তারা মেনে নেবে না।
এর আগে বিকেলে সচিবালয়ে সরকারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষার্থীদের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে মে মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে সচিবালয় থেকে আন্দোলনকারী প্রতিনিধি দলটি ক্যাম্পাসে ফিরে এসে সিদ্ধান্ত জানালে তা মানতে অস্বীকৃতি জানায় আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছে, এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলে আন্দোলন থেমে যাবে। প্রজ্ঞাপন জারি করতে এতা সময় লাগার কথা নয়। সরকার চাইলে তা আজই ঘোষণা দিতে পারতো। সামনে রোজা, তাই তাদের এ দাবি পূরণ হবে না বলে মনে করছেন তারা।
ঘোষণার পর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা। তারা এই কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবি তুলেছেন।
সন্ধ্যায় পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ফের ফুসে উঠেছে। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন হল থেকে নতুন করে জড়ো হতে শুরু করেছেন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে লাঠি-সোটা নিয়ে মিছিল করছেন শতশত শিক্ষার্থী।
আন্দোলনস্থলে হ্যান্ড মাইকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দিয়ে সবাইকে যার যার অবস্থানে থাকতে বলা হচ্ছে। আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত ‘মানিনা- মানবো না’ মুহুর্মূহু স্লোগানে পুরো ক্যাম্পাস মুখর হয়ে উঠছে।
শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে সরে গিয়ে ভাগে ভাগে অবস্থান নিচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দিকে। তবে রাজু ভাস্কর্যের সামনে কিছু শিক্ষার্থী এখনো মানি না, মানবো না বলে স্লোগান দিচ্ছে।