কোচের জন্মদিনে জয় উপহার দিলো টাইগাররা
একুশে জার্নাল ডটকম
জুন ১৮ ২০১৯, ০০:১০

গুরুর জন্মদিনে শিষ্যদের তরফ থেকে এর চেয়ে দারুণ উপহার আর কী হতে পারে! হয়তো গুরু নিজেও এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতেন না। প্রিয় কোচকে ম্যাচ জয় দিয়েই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো শিষ্যরা।
আজ সোমবারেই (১৭ জুন) ৫৬-তে পা রাখলেন স্টিভ রোডস। ১৯৬৪ সালের এই দিনে যুক্তরাজ্যের ব্রাডফোর্ডের ইয়োর্কশায়ারে এক ক্রিকেট পরিবারে জন্মেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই প্রধান কোচ। বাবা উইলিয়াম রোডসও ছিলেন ক্রিকেটার। কাউন্টিতে নটিংহ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলেছিলেন ৩০ বছর। ছেলে জর্জ রোডসও খেলছেন ক্রিকেট।
খেলোয়াড়ি জীবনে স্টিভ রোডস ছিলেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। যদিও ইংলিশদের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি। ২২ টেস্ট ও ৯টি ওয়ানডেতেই সীমাবদ্ধ ছিল তার ক্যারিয়ার। তবে প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ছিল বেশ লম্বা ও সমৃদ্ধ। ইংল্যান্ডে প্রথম শ্রেণির লম্বা ক্যারিয়ার মানেই ক্রিকেটের বেসিক সম্পর্কে দারুণ জ্ঞান থাকা চাই। আর সে জ্ঞানই হয়তো তাকে বানিয়েছে সফল কোচও।
কাউন্টিতে খেলেছেন ১৯৮১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত। উস্টারশায়ার ও ইয়র্কশায়ারের হয়ে খেলা হয়েছে ৪৪০টি ফার্স্টক্লাস ম্যাচ। এর পর শুরু হয় কাউন্টিতে কোচিং ক্যারিয়ার। সেই ক্যারিয়ার তার আরও সমৃদ্ধ। যদিও বাংলাদেশের কোচ হওয়ার আগে কোনো জাতীয় দলকে কোচিং করাননি। তবে ২০০৬ সাল থেকে শুরু করা কাউন্টি কোচিং ক্যারিয়ারে উস্টারশায়ারকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছিলেন।
স্টিভ রোডসের জন্মদিনের এই দিনটিতে বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে বিশ্বকাপে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এলো বাংলাদেশ। কোচের জন্মদিনে শিষ্যদের তরফ থেকে এর চেয়ে বড় উপহার আর কীই বা হতে পারত?
ওয়ানডে বিশ্বকাপই শেষ নয়, ২০২০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকছেন এই ইংলিশ। সে পর্যন্ত তার হাত ধরে আরও সাফল্যের পালক যুক্ত হবে টাইগারদের, তার নিজের ক্যারিয়ারেও— এটাই নিশ্চয় টাইগার ভক্তদের প্রত্যাশা। শুভ জন্মদিন স্টিভ রোডস।