“কৃষক নিখিল হত্যা চলমান প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্রের নিকৃষ্ট বহিঃপ্রকাশ”

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ১১ ২০২০, ২২:৪২

কৃষক নিখিল হত্যা চলমান প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্রের নিকৃষ্ট বহিঃপ্রকাশ- ইশা ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

আজ ১১ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে “কৃষক নিখিল হত্যার” প্রতিবাদে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখার উদ্যোগে এক প্রতিবাদী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন , দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস সৃষ্ট বিপর্যয়ের মধ্যেও নিখিল হত্যা পুলিশের চরম ঔদ্ধত্যের একটি চিত্র মাত্র। এভাবেই দেশের নানান প্রান্তে নাগরিকের উপর রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিপীড়নমূলক হয়রানি ও খড়গহস্ত অব্যাহত রয়েছে। এর প্রতিকারে দায়সারা গোছের সাময়িক কিছু বরখাস্তকরন ছাড়া সরকার কিংবা প্রশাসনের তরফ থেকে দৃষ্টান্তমূলক কার্যকরী পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশ এখন একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম খুনের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এম শোয়াইব উপর্যুক্ত কথা বলেন।

প্রতিবাদী সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, গ্রেফতার করার মুহূর্তে ভিকটিমের উপর প্রশাসনের নিপীড়ন মূলক আচরণ একটা অপ্রতিরোধ্য অনৈতিক সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা পরিলক্ষিত করছি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও নিরাপরাধ ব্যক্তিও তাদের এই সাংবিধানিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ঔদ্ধত্যের শিকার হচ্ছে। এমনকি এখন তারা গ্রেফতারের নামে নির্ধিদায় হত্যা করতেও দ্বিধা করছে না। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এভাবে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রশাসনিক ভায়োলেন্স গুলো অব্যাহত থাকলে ছাত্র জনতা বসে থাকবে না।

মানববন্ধন থেকে বক্তাগণ অনতিবিলম্বে নিখিল হত্যার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইমরান হোসাইন নূর, ঢাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, এফবিএস সভাপতি তাওহীদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।