কৃষকের ফসলি জমি খনন করে মৎস্য খামার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
একুশে জার্নাল
মার্চ ০২ ২০২০, ১৭:৩২
ইয়ামিন কাদের নিলয় শরীয়তপুর: ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের আদাশন গ্রামের কৃষক জনাব আব্দুল লতিফের ফসলি জমি খনন করে মৎস্য খামার করছিল স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি জনাব আজাহার হাওলাদার
তাৎক্ষনিক ভাবে কৃষক জনাব আব্দুল লতিফের
ডামুড্যা উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেন।ডামুড্যা উপজেলা প্রশাসন জনাব আজাহার হাওলাদার কে মৌখিক ভাবে নিষেধ করেন তিনি যেনো ফসলি জমি খনন না করেন।
কিন্তু আজ দুপুরে কৃষক জনাব আব্দুল লতিফ ডামুড্যা উপজেলা প্রশাসনের নিকট এসে বলেন
প্রভাবশালী ব্যক্তি জনাব আজাহার হাওলাদার প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিজ ইচ্ছেমতো
৭০ জন লোক নিয়ে মাটি খনন করার কাজ শুর করেন এবং তাকে মারধর করেন।তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনা স্থলে গিয়ে ফসলি জমিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জনাব আজাহার হাওলাদার কে গ্রেফতার করা হয় । অভিযান চলার সময় ডামুড্যা থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মামুন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন বলেন,জনাব আজাহার হাওলাদার নিজ ইচ্ছেমতো কৃষক জনাব আব্দুল লতিফের ফসলি জমি কেটে মৎস্য খামার করছিল।কৃষক জনাব আব্দুল লতিফ আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা আজাহার হাওলাদার কে ডেকে এনে মৌখিক ভাবে নিষেধ করি,কিন্তু তিনি আমাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৭০ জন লোক নিয়ে মাটি কাটা শুর করেন এবং কৃষক জনাব আব্দুল লতিফ কে মারধর করেন।তাৎক্ষনিক ভাবে আমি ঘটনাস্থল গিয়ে আজাহার হাওলাদার কে গ্রেফতার করি,তখন ৭০ জন লোক মাটি খনন করার কাজ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
জনাব আজাহার হাওলাদার কে গ্রেফতার করার পর ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মর্তুজা আল মুঈদ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)আবদুল্লাহ আল মামুন জনাব আজাহার হাওলাদার নিকট হতে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয় যে তিনি যেনো প্রভাব খাটিয়ে আর কোনদিন কোন কৃষকের জমি খনন না করে।