কূটনৈতিক সমাধানে বাধ্য হলো গ্রিস
একুশে জার্নাল ডটকম
সেপ্টেম্বর ২৭ ২০২০, ১০:৫৮
পূর্ব-ভূমধ্যসাগরের উত্তেজনা নিরসনের কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপের দেশ গ্রিস। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকোস মিতসোতাকিস প্রতিবেশী রাষ্ট্র দুটির মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
যদিও বিরোধপূর্ণ জলসীমায় জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধানে গিয়ে তুরস্ক ‘আগ্রাসন’ চালাচ্ছে বলেও এবার অভিযোগ করেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধানে তুরস্ক গত মাসে ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত জলসীমায় জাহাজ মোতায়েন করলে গ্রিসের সঙ্গে উত্তেজনা তৈরি হয়। অনুসন্ধানকারী জাহাজ অরুচ রেইচের সঙ্গে যুদ্ধ জাহাজও মোতায়েন করে তুরস্ক। পাল্টা যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পাশাপাশি কয়েকটি ইউরোপীয় মিত্র দেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথভাবে নৌ মহড়া চালায় গ্রিস। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তুরস্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অরুচ রেইচকে উপকূলে ফিরিয়ে আনলে উত্তেজনা খানিক প্রশমিত হয়।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পূর্বে রেকর্ডকৃত এক ভাষণে তুর্কি অনুসন্ধানকে আগ্রাসন বলে মন্তব্য করেন গ্রিস প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকোস মিতসোতাকিস। তবে তা সত্ত্বেও সংকট নিরসনে আশাবাদী থাকার কথা জানান তিনি। গ্রিক প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলুন বসি, আলোচনা করি আর পরস্পরের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজি। চলুন কূটনৈতিকতাকে একটি সুযোগ দেই। তারপরও যদি সম্মত হতে না পারি, তাহলে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের প্রজ্ঞার ওপর বিশ্বাস রাখা উচিত হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ওই চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারলে তুরস্ক ও গ্রিসও তাদের ঐতিহাসিক শত্রুতার অবসান ঘটাতে পারবে।
পূর্ব-ভূমধ্যসাগরে গ্রিসের সঙ্গে বিরোধের জেরে তুরস্ককে অনুসন্ধান কাজ বন্ধের আহ্বান জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিরসনে ব্যর্থ হলে আঙ্কারার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় জোটটি। বিশেষ করে গ্রিসকে সমর্থন দিতে ওই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠায় ফ্রান্স। মধ্য আগস্টে গ্রিসকে সতর্ক করে দিয়ে আঙ্কারা জানায় তাদের জাহাজের ওপর কোনো আঘাত আসলে পাল্টা শোধ নেওয়া হবে।