কুড়িগ্রামে বস্তা কেলেঙ্কারির জেরে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলি আতঙ্ক 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ৩১ ২০২০, ১৮:১২

রোকন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: সরকারিভাবে ধান, চাল ও গম সংরক্ষণে কুড়িগ্রাম জেলা খাদ্য বিভাগে ছেড়া, ফাঁটা ও নিম্ন মানের প্রায় আট লাখ বস্তা কেনার দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নতুন করে আরও ২৩ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিকে বদলির আদেশ জারি করেছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান।

বুধবার দিবাগত রাতে এ আদেশ জারি হলেও বৃহস্পতিবার কর্মস্থলে এসে কর্মচারিরা বিষয়টি জানার পর হতাশ হয়ে পড়েন। অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারিও এখন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। কখন বদলির আদেশ আসে, এই দুশ্চিন্তায় তাদের সময় কাটছে। এক কথায় ঘুম হারামের মতো পরিস্থিতিতে তাদের সময় কাটছে। নতুন বদলিকৃতদের ২ নভেম্বরে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে একযোগে ১৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারিকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা (ওসিলএসডি) এবং ছয়জন পরিদর্শক রয়েছেন।

রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে গত ২১ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত পৃথক ছয়টি অফিস আদেশে এদের বদলি করা হয়। তাদেরকে ১ নভেম্বর পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফলে সবাই এখন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বদলি হওয়া কর্মচারীরা সবাই উপজেলা এলএসডির নিরাপত্তা প্রহরী। তারা হলেন, রাজারহাট এলএসডির ইসমাইল হোসেন ও ফারুক মন্ডল, নাগেশ্বরীর এলএসডির গোলাম রব্বানী, তৌহিদুল হক, মাহাবুর রহমান ও নুরুজ্জামান নয়ন, ফুলবাড়ীর এলএসডির আবু বকর ছিদ্দিক, নুর ইসলাম ও আব্দুল গফুর, রৌমারীর এলএসডির আবু জোবায়ের ও হাবিবুর রহমান, চিলমারীর এলএসডির মাঈদুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন দুদু, কুড়িগ্রাম সদর এলএসডির হেলিম উদ্দিন তালুকদার, মরিয়ম বেগম, মাহবুবা শবনম, জাহিদ হাসান, জিয়াউর রহমান, জেসমিন বেগম ও মোস্তাফিজার রহমান, উলিপুর এলএসডির নুরে আলম সরকার, ভুরুঙ্গমারী জয়মনিরহাট এলএসডির রমজান আলী এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী শাহ আলমকে বিভিন্ন উপজেলা এলএসডিতে বদলি করা হয়।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে খাদ্য অধিদপ্তর ঢাকার প্রশাসনিক বিভাগ এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রংপুর কার্যালয়ের লিখিত নির্দেশনা এবং সর্বশেষ বুধবার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালামের টেলিফোনিক নির্দেশনায়।