কুশিয়ারা রক্ষায় মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হবে : পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ২০ ২০১৯, ১৯:৩৯

দুই দিনের ব্যবধানে নবীগঞ্জের বন্যা দূর্গত এলাকা কুশিয়ারা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন তিন মন্ত্রী। মন্ত্রীদের এই পরিদর্শন নিয়ে এলাকায় আলোড়ন উঠেছে। সবার মধ্যে আলোচনা হচ্ছে কবে শুরু হচ্ছে কুশিয়ারা ডাইকের মেগা প্রজেক্টের কাজ। ৫শ ১৮ কোটি টাকা ব্যায়ে যে প্রজেক্টের প্রস্তাব করা হয়েছে তা একনেকের সভায় অনুমোদন হলেই আগামী বছরের শুকনো মৌসুমে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গতকাল শনিবার পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লেঃ কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক এমপি। তিনি বলেন হবিগঞ্জের ভাটি অঞ্চলকে রক্ষায় যে প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হচ্ছে তা হবে সিলেট বাসীর জন্য সুখবর। উক্ত মেগা প্রজেক্ট এলাকা গত বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করে পানি সম্পদ উপ মন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

শনিবার (২০জুলাই) আবারো পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর এই ঝটিকা সফরে জনতার মধ্যে আলোড়ন উঠেছে। আশার আলো সঞ্চার হয়েছে অচিরেই এই মেগা প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। গতকাল নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকার পাহাড়পুর ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। সকাল সাড়ে ১০টায় মন্ত্রী হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজ থেকে গাড়ি যোগে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন ও নদীর তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শনে আসেন। এসময় তার সাথে ছিলেন নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকার সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লেঃ কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক এমপি বলেন, কুশিয়ারা নদীর বাঁধ নির্মান ও নদী খননের ব্যাপারে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আমরা অচিরেই প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে একনেকের সভায় উপস্থাপন করবো। উক্ত সভায় প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পটি অনুমোদন করলে আমরা শীঘ্রই কাজ শুরু করতে পারবো। এর ফলে হবিগঞ্জবাসী প্রতি বছর বন্যার জন্য যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা থেকে রক্ষা পাবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে বিবিয়ানা নদী ও কুশিয়ারা নদী খনন করা হবে। ওই মেগা প্রজেক্টে ১৭৬ কি.মি নদী ডেজিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালক মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী উত্তর-পুর্বাঞ্চল নিজামুল হক, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ, হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন স্বপন কুমার বসাক, মৌভলীবাজার পানি উন্নয়ন বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) এস এম ফজলুল হক, হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আবুল ফজল, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এল সৈকত, নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন প্রমুখ। এ ব্যাপারে পাহাড়পুর গ্রামের মতিন মিয়া বলেন আমরা এলাকায় হুনছী (শোনেছি) ৫শ কোটি টাকা আইতেছে আমরার খুশি লাগতেছে। আমরা নদী ভাঙ্গা মেরামত করলে আমরা হক্কলেরই উপকার অইব। টেকা যাতে বোয়ালদের পকেটে না যায় অকান দেখা লাগব। স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ বলেন, উক্ত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এলাকার চেহারা পাল্টে যাবে। দেখা নতুন দিঘন্তের। কৃষি ক্ষেত্র ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন হবে। আমি আশা করছি প্রকল্পটি একনেকের সভায় অনুমোদ দিবেন।