কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে অস্তিত্ব হুমকির মুখে বালাগঞ্জের আমজুড়-মুসলিমাবাদ গ্রাম
একুশে জার্নাল ডটকম
ফেব্রুয়ারি ০৬ ২০২০, ১৮:৩১

আবুল কাশেম অফিক, বালাগঞ্জ:
কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে অস্তিত্ব হুমকির মুখে বালাগঞ্জের পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের আমজুড় ও মুসলিমাবাদ (ডেকাপুর) গ্রাম। এমনকি মুসলিমাবাদ গ্রামের কুশিয়ারার পারে নির্মিত পশ্চিম ডেকাপুর উত্তর পাড়া জামে মসজিদটিও প্রায় বিলীনের পথে। মসজিদটির প্রায় অধিকাংশ জায়গাই কুশিয়ারার প্রবল ঢেউয়ে ধ্বসে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে হুমকির মুখে এই মসজিদটি।
সরেজমিনে আমজুড় ও মুসলিমাবাদ (ডেকাপুর) গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাম গুলোর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়ক। কুশিয়ারার ভয়াল গ্রাসে নিমজ্জিত দুটি গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার জায়গা। বালাগঞ্জ উপজেলা থেকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় যাতায়াত করার একমাত্র রাস্তা এটি। কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে রাস্তার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ জায়গাই ধেবে গেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই এভাবে একটু আধটু করে কুশিয়ারা গর্ভে চলে যায় রাস্তাটির একটি অংশ। ভাঙ্গনের সমাধান কল্পে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুশিয়ারা নদীর এই ভাঙ্গন অংশটির জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। আমজুড় ও মুসলিমাবাদ (ডেকাপুর) গ্রামের ভাঙ্গনকৃত অংশে বস্তা ভর্তি বালু দিয়ে ব্লক তৈরী করে বাশের খুঁটি দিয়ে আড়াআড়ি করে সাময়িক ভাঙ্গন রোধ করার ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু এর ৬ মাস পরেই আবারো ভাঙ্গতে শুরু করে। যা এখনো বহমান রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মনাফ (বুরু মিয়া) বলেন, ভাঙ্গন অংশে স্থায়ী একটি সমাধান প্রয়োজন। আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে এ ব্যাপারে অবগত করেছি। আশা করি অচিরেই একটি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস বলেন, ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি দাবি জানাই
স্থানীয়দের দাবি, ভাঙ্গনকৃত অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ড যাতে স্থায়ী সমাধানের কোনো প্রকল্প হাতে নেয়।