কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক বয়ান করা আলেমদের দায়িত্ব -আল্লামা আহমদ শফী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ১১ ২০১৯, ২০:৫৬

 

হাবীব আনওয়ার

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে প্রণীত ওয়াজ মাহফিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ বিষয়ে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে আজ ১১ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের একটি প্রতিনিধিদল হাটহাজারীতে আল্লামা আহমদ শফীর সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷
এ সময় আল্লামা আহমদ শফী বলেন –
আলেমসমাজ নবীদের উত্তরসূরী ৷ কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জাতিকে নির্দেশনা দেয়া তাদের কর্তব্য ৷ শাসক ও জনগণকে নসীহত করা তাদের যিম্মাদারী ৷ কল্যাণের প্রতি আহ্বান জানানো ও অকল্যাণের প্রতিরোধ করতে আলেমদেরকে স্বয়ং আল্লাহ ও তদীয় রাসূল স. নির্দেশ দিয়েছেন ৷ আর তাই কোনো অবস্থাতেই আলেমসমাজের পক্ষে এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই ৷
ইতিহাস প্রমাণ করে, শাসক ও জনগণ যখন আলেমদের কথা অনুসরণ করেছে তারা সফলকাম হয়েছে ৷ আর যখন বিরোধিতা করেছে, আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন ৷ মানুষের ঈমান-আকীদার হেফাজত করা, মানুষকে পরকালমুখী করা, প্রচলিত শিরক-বিদআত ও কুসংস্কারসমূহ রদ করা এবং শরীয়তবিরোধী সকল কর্মকান্ড প্রতিরোধে ভূমিকা পালনের শিক্ষাই দেওবন্দী ধারার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ৷ কওমী মাদরাসাগুলোতে গুরুত্বের সাথে এ বিষয়গুলোতে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি ৷ দেশপ্রেম ও জাতির প্রতি ভালোবাসার আদর্শ শিক্ষা দেই ৷ এজন্য জঙ্গীবাদ, উগ্রবাদসহ দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল চরমপন্থার বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা অনস্বীকার্য ৷ হক্কানি ওলামায়ে কেরাম নারী অধিকারের কথা বলেন, নারী নির্যাতন ও যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে আলেম সমাজের অবদান অপরিসীম ৷

ওয়াজ মাহফিলসহ দ্বীনের দাওয়াত আলেমদের গুরুত্বপূর্ণ কর্মক্ষেত্র ৷ এর তদারকির জন্য শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামই যথেষ্ঠ ৷ ধর্মীয় স্পর্শকাতর এই বিষয়ে অন্য কোনো মহলের হস্তক্ষেপ হিতে বিপরিত হবে এবং সরকারকে আলেমসমাজের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিবে ৷ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকা নাস্তিক, মুরতাদ, কাদিয়ানী ও আলেম বিদ্বেষী এতাআতী গোষ্ঠী যারা ইতিপূর্বে কওমী সনদের স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছিল, তারাই আবার সরকারকে বিভ্রান্ত করছে ৷
সাক্ষাৎকালে ওয়াজ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নসীহত এবং পরবর্তিতে বৃহদাকারে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উপস্থিত আলেমদেরকে আল্লামা আহমদ শফী গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন ৷

মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর , মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুঈনুদ্দিন রুহী, মুফতী ইমাদুদ্দিন, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মাসউদুল করীম, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মুফতী কেফায়াতুল্লাহ আযহারী, মুফতী আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা শফিকুর রহমান, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী, মাওলানা রাফি বিন মুনির, মাওলানা লোকমান সাদী, মাওলানা আব্দুর রহিম আলমাদানী, মাওলানা ইয়াকুব উসমানী প্রমুখ ৷