কুমিল্লার রুপে মুগ্ধ হতে প্রতি মাসে আসে লক্ষাধিক দর্শনার্থী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৯ ২০১৮, ০৫:৪৩

শাহীন বিন শফিক, কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় রয়েছে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনার সৃষ্টি কুমিল্লা কোটবাড়ি এলাকা ঘিরে। কোটবাড়ি শালবন বিহারে প্রতিমাসে আসে লক্ষাধিক দর্শনার্থী ।

Related image

কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতি জাদুঘর গত বছর সোয়া কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এবার তা দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

শালবন বৌদ্ধবিহার

শালবন বৌদ্ধবিহার

কুমিল্লা শালবন বৌদ্ধ বিহার, ময়নামতি জাদুঘর সূত্র জানায়, শালবন বিহারের পাশে সেনানিবাসের আনন্দ বিহার, ভোজ বিহার, চারপত্রমুড়া, কোটিলামুড়া ও লতিকোট মুড়া। সেনানিবাস কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে দেশি পর্যটক সেখানে প্রবেশ করতে পারবে। অল্পকিছু দিনের মধ্যে সেগুলোর সঙ্গে দর্শনার্থীদের প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে রুপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, রাণীর বাংলো, নগরীর রাণীর কুটির, শচীন দেব বর্মণের বাড়ি ও লাকসামে নওয়াব ফয়জুন্নেছার বাড়ি।
কুমিল্লায় ৫৪টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে। তার মধ্যে ১২টি খনন করা হয়েছে। অপেক্ষায় রয়েছে আরো ১৪টি।

ছোট পাহাড়, সবুজ বন আর নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে চায় মানুষ। এজন্য থাকার ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি মোটেল প্রতিষ্ঠা করা হলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে।

কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে আছে বিভিন্ন পর্যটন উপযোগী স্থাপনা। বিশেষ করে শালবনের পাশের বিভিন্ন বিহার, ওয়ার সিমেট্রি, নজরুলের স্মৃতিধন্য মুরাদনগরের দৌলতপুর ও লাকসামের নওয়াব ফয়জুন্নেছার বাড়ির কথা। এগুলো সংরক্ষণ করে মানুষের বিনোদনের সঙ্গে সরকার রাজস্ব আয় বাড়াতে পারে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর কুমিল্লাস্থ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, কুমিল্লায় পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সেনানিবাসের ভেতরের প্রত্ন স্থাপনাগুলো দেশি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে সেনানিবাসের জিওসি ও স্টেশন কমান্ডার মহোদয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। মহাসড়কের নিকটবর্তী হওয়ায় কোটবাড়িতে মানুষ আসতে চায়। সময় কাটাতে চায়। এখানে পর্যটন কর্পোরেশন একটি হোটেল স্থাপন করলে পর্যটকরা রাত্রি যাপন করতে পারবে। সময় নিয়ে বিভিন্ন বিহার পরিদর্শন করতে পারবে।