কিশোরগঞ্জে ইমাম-মুয়াজ্জিন রক্তাক্ত: আসল ঘটনা কী?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ০১ ২০২০, ২০:৩৪

ইলিয়াস সারোয়ার : গত দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি খবর প্রচারিত হচ্ছে। যাতে বলা হচ্ছে ১২ জনের বেশি মুসল্লি মসজিদে ঢুকতে না দেওয়ায় ইমাম মুয়াজ্জিনকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। কেউ প্রতিবাদী ভাষায় বলছে, সরকারের সিদ্ধান্তের বলি ইমাম-মোয়াজ্জিনরা কেন হবে? কেউবা আবার পুরো উল্টোভাবে বলছেন- ১২ জনের বেশি মুসল্লি নিয়ে মসজিদে নামাজ পড়ার কারণে ইমাম মোয়াজ্জেনকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। কেউ কেউ আবার ঘটনাটিকে ভুয়া বলে মন্তব্য করছেন। প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, আসল ঘটনাটি কী?

একুশে জার্নালের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি মসজিদে মুসল্লি সংখ্যা কম-বেশি হওয়ার কিংবা কাউকে মসজিদে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে নয়, বরং মসজিদের বাইরে একটি ফার্মে দুই ভাই তারাবি পড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এটি এক পর্যায়ে হাতাহাতি-মারামারির পর্যায়ে পৌঁছলে কয়েকজন আহত হয়।

কিশোরগঞ্জ ইমাম-উলামা পরিষদের সেক্রেটারি, তারাপাশা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবুল বাশার জানিয়েছেন, ঘটনাটি যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে আসলে ঠিক সেভাবে এটা ঘটেনি। এটা কোন মসজিদে নয়, বরং গত দুই-তিন দিন আগে একটি ফার্মে দুই ভাই সুরা তারাবি পড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এই দ্বন্দ্বের জেরে মারামারির একপর্যায়ে তিন জনের অধিক লোক আহত হন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

তিনি সবাইকে ভুল তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।