কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত কোনো মুসলমান নীরব থাকতে পারে না -আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী
একুশে জার্নাল
আগস্ট ২৮ ২০১৯, ১২:৪৯
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরী বলেন, কাশ্মীরীরা প্রায় দীর্ঘ সত্তর বছর ধরে ভারত শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। একটি স্বাধীন ভূস্বর্গকে পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ করে জোর পূর্বক শাসন করে আসছে ভারত সরকার। যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
সেখানে গণ ভোটের মাধ্যমে তাদের অবস্থান পরিস্কারের ইখতিয়ার দেয়ার কথা থাকলেও তা না করে বরং ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরের তৎকালীন রাজা হরিসেন ভারত সরকারের সাথে এক চুক্তি করে এর আওতায় ভারত সরকার তাদের সংবিধানে ৩৭০ ধারা সংযোজন করে। এর আওতাধীন দেয়া সুযোগ সুবিধা তথা অনুচ্ছেদটি বাতিলের মধ্য দিয়ে নতুন করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে। কাশ্মীরের মোড়ে মোড়ে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত করছে। তাদের উপর কারফিউ জারি করে শত শত কাশ্মীরী মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা ও ঔষধপত্রের অভাবে কাতরাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে কোনো মুসলমান চুপ করে বসে থাকতে পারে না। তিনি আজ বাদ আসর কাশ্মীরে মুসলিম হত্যা বন্ধ ও তাদের স্বায়ত্বশাসন পুনর্বহালের দাবিতে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা যুবায়ের আহমদ আনসারী বলেন, কাশ্মীরীদের ন্যায্য দাবী স্বাধীনতা অর্জনের আগ পর্যন্ত প্রতিটি মুসলমানকে তাদের সাহায্যে ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশ সরকার মুসলমানদের সরকার সুতরাং দেশের সাধারণ জনগণের মতামতকে পাশ কাটিয়ে সরকার নীরব থাকতে পারে না। সরকারের উচিত বিশে^র প্রতিটি মুসলিম রাষ্ট্রকে বিবেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধকরে কাশ্মীরীদের পক্ষে অবস্থান নেয়া। মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘসহ বিশ^ মোড়লরা নীরব ভূমিকা পালন করছে। একটি শান্তিপূর্ণ ভূস্বর্গে রক্তের বন্যা বয়ে দিয়ে তারা নীরব থাকতে পারবে না। যেখানে খোদ ভারতের অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং অধিকাংশ জনগণের দাবীও এটা যে কাশ্মীরীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা না হোক। সেখানে মোদী সরকার কীভাবে একক নৈরাজ্য চালায় তা আমাদের বুঝে আসে না।
তিনি বিশ^যুদ্ধের এ অসনি সংকেত থেকে ফিরে এসে তাদের স্বাধীনতা প্রদানের মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবী জানান। যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা যুবায়ের আহমদ আনসারী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি শরাফত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, সহ বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামাতুল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খান, সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল মুমিন, ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারী জেনারেল উবায়দুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে আগামী ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়