কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে জমিয়তের বিক্ষোভ
একুশে জার্নাল ডটকম
সেপ্টেম্বর ১৮ ২০১৯, ১৮:৪৮
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে এবং তাদের স্বায়ত্বশাসন ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়।
নগরীর ধোপাদিঘীর পূর্বপাড়স্থ শিশু পার্কের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে এক পথসভায় মিলিত হয়।
মিছিল পরবর্তী পথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশের সহ সভাপতি ও সিলেট জেলা সভাপতি আল্লামা শায়খ জিয়া উদ্দিন বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি উগ্রবাদী ও কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী। ভারতের মুসলমানদের উপর রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গো হত্যার মিথ্যা অভিযোগ তোলে বিভিন্ন সময়ে মুসলমানদের উপর যেই অত্যাচার, নির্যাতন চালিয়েছে, চালাচ্ছে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে কাশ্মীরের বিশেষ স্বতন্ত্র ও মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে এই জালিম মোদি। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ এবং সাংবাদিকদেরকে বের করে দিয়ে পুরো কাশ্মীরকে বিশ্ব থেকে আলাদা করে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম বর্বরতা চালাচ্ছে এই জালেম মোদি সরকার। যখন তখন যাকে তাকে হত্যা, গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। এই মোদি সরকার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় দজ্জাল ও বড় সন্ত্রাসী।
মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দিন বলেন, মোদির নির্যাতনে যখন কাশ্মীরে মুসলমানদের রক্তের বন্যা বইছে, মজলুম মুসলমানদের রক্তে যখন এই জালিম মোদির হাত রঞ্জিত করছে, আকাশ-বাতাসে যখন কাশ্মীরের মজলুম মুসলমানের আর্তনাদ আর বুকফাটা কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে ঠিক সেই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের এমন ঘৃন্য কাজ মুসলিম উম্মাহর কলিজায় আঘাত করেছে।
তিনি আরো বলেন, আরবের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আমেরিকা রাশিয়ার পা-চাটা গোলামী করছে, মুসলিম বিদ্বেষী জালিম মোদিকে সম্মাননা দিয়ে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম, ঘৃন্য কাজ করেছে আরব আমিরাত। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের সকল মুসলিম দেশকে কাশ্মীর মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, বিশ্বের কোথায়ও কোন মুসলমান নির্যাতিত হলে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারিনা। এজন্যই আমরা রাজপথে নেমেছি, প্রয়োজনে কাশ্মীরে হত্যা নির্যাতন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
সিলেট জেলা জমিয়তের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালিক ক্বাসিমী ও মহানগর জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ সৈয়দ সালিম ক্বাসেমীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ হাফিজ আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, মাওলানা খয়রুল হোসেন, জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক হাফিজ ফখরুজ্জামান, জেলার সহ সভাপতি মাওলানা আসরারুল হক, আলহাজ্ব সামসুদ্দিন, মাওলানা সামসুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল হান্নান, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নুর আহমদ ক্বাসেমী, মাওলানা শফিউল আলম, মুফতি এবাদুর রহমান, মাওলানা কবির আহমদ, হাফিজ আব্দুস সালাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মতিন, কাজী আমিন উদ্দিন, মাওলানা আতিকুর রহমান, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা নাজিম উদ্দিন, হাফিজ আলী আহমদ, মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, হাফিজ মাহমুদুল হাসান, ক্বারী মুখতার আহমদ, মাওলানা সদরুল আমিন, মাওলানা জাহেদ আহমদ, হাফিজ কবির আহমদ, মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা রায়হান উদ্দিন, মাওলানা ফয়ছল আহমদ, মাওলানা কবির আহমদ, মুফতি জাকারিয়া খান, মুফতি বাহরুল আমিন, মো. লুৎফুর রহমান, হাফিজ আব্দুল করিম দিলদার, হাফিজ ফরহাদ আহমদ, হাফিজ ফয়েজ উদ্দিন, কেএম ফয়েজ উদ্দিন, বাহা উদ্দিন বাহার, হাসান বিন ফাহিম প্রমুখ।
মিছিলে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ও নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারে কয়েক হাজার জমিয়ত নেতাকর্মী যোগদান করেন। মিছিলে স্লোগান ছিল- কাশ্মীরে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব দে। উগ্রবাদ নিপাত যাক, কাশ্মীর মুক্তি পাক। মানবতা তুমি কার, কাশ্মীর কেন হাহাকার। দখলকার নিপাত যাক, কাশ্মীর মুক্তি পাক। গর্জে উঠো রণবীর, আজাদ করো কাশ্মীর। রক্ত ঢালবে লাখো বীর, স্বাধীন হবে কাশ্মীর। ভারতীয় রাজাকার, এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়। অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন স্লোগানগুলো মুখরিত করে তুলে নগরী।