কাঁঠালের মধ্যে ইয়াবা পাচার: স্ত্রীসহ রেল পুলিশ রিমান্ডে
একুশে জার্নাল
জুলাই ০৪ ২০১৯, ২১:৪১
কাঁঠালের ভেতরে অভিনব কায়দায় ইয়াবা রেখে পাচারকালে গ্রেফতার রেল পুলিশের টিএসআই বাবুল খন্দকার ও তার স্ত্রী শিউলি বেগমকে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ চৌধুরী আসামিদের রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গেণ্ডারিয়া থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম আল মামুন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বাবুল খন্দকার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য। তিনি মাদক ব্যবসা করে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে অপর সহযোগীদের গ্রেফতার এবং তাদের দখলে থাকা মাদক উদ্ধারের জন্য আসামিদের রিমান্ড প্রয়োজন।
অপরদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।
জানা যায়, বিভিন্ন ফলের ভেতর ইয়াবা পাচার পুরাতন বিষয়। তবে মৌসুমী ফল কাঁঠালে অভিনব পন্থায় ইয়াবা পাচার তারা প্রথম দেখছেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মৃতদেহের পেট থেকে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।
র্যাব জানিয়েছে, আটক বাবলু খন্দকার রেলওয়ে পুলিশে চাকরি করেন। চাকরির আড়ালে ট্রেনে করে প্রায়ই ঢাকায় ইয়াবা এবং গাঁজার চালান নিয়ে আসতেন। বুধবার সকালে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে গোমতি এয়ারকন পরিবহনের একটি বাসে করে স্ত্রীসহ বাবুল খন্দকার ঢাকায় আসেন। গেপন খবরের ভিত্তিতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে স্ত্রীসহ বাবলুকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তাদের সঙ্গে থাকা কাঁঠাল ভেঙে ভেতর থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বাবলু খন্দকারের গ্রামের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া এলাকায় এবং শিউলি বেগমের বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার কসবা এলাকায়। তারা রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় বাস করতেন।