কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে সংঘর্ষ, স্কুল শিক্ষক আহত
একুশে জার্নাল
মে ১৪ ২০২০, ১৯:৫৪
সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলায় শ্যামনগরে শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রী কলেজ ও নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দের মধ্যে সংঘর্ষে নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নান আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ৯ টা ৩০ মিনিটের দিকে উক্ত ঘটনা ঘটে।
দীর্ঘদিন ধরে শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রী কলেজ ও নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কলেজ শিক্ষকদের একাংশ পিয়ন গোলাম হোসেন খন্ডকালীন পিয়ন আমিনুুর এর সমন্বয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা তার ওপর আক্রমণ চালিয়ে গুরুতর আহত করে বলে জানান প্রধান শিক্ষক ড. আঃ মান্নান ।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘ মাস দেড়েক আগে মাপজোক করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। আজ সকালে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার সীমানা প্রাচীর দেওয়ার পর আজ সকালে কলেজের শিক্ষকরা বহিরাগত লোকজন নিয়ে সীমানায় কাটাতারের ব্যাড়া ও খুটি ভেঙে দেওয়ার সময় বাধা দিলে হামলা চালিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিলে অচেতন হয়ে পড়েন, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব নাজমুল হুদা বলেন-” দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নকিপুর পাইলট বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।”
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব, আ ন ম আবুজর গিফারী বলেন-” সদ্য জাতীয়করণ হওয়া প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষে না জড়িয়ে সহনশীলতা পর্যায়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মিমাংসার দরকার ছিল।”
উক্ত ঘটনায় মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের শিক্ষকেরা ও নকিপুর সরকারী হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ফোরামের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
আহাত নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. মোহাম্মাদ আব্দুল মান্নানকে দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম আতাউল হক দোলন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কৃষ্ণানন্দ মুখার্জি, সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান, জয়দেব বিশ্বাস। তারা গভির ভাবে শোকপ্রকাশ করেন এবং এর সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।